রাজধানীর উত্তরায় নিয়াসা নামে এক গৃহকর্মীর গায়ে ফুটন্ত ভাতের মাড় ঢেলে দিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগে গ্রেপ্তার বাড়িওয়ালার মেয়ে তানজিনা রহমানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম আতিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাঞ্চন রায়হান আসামি তানজিনাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
এ সময় তানজিনার পক্ষে দুজন আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন।
নির্যাতনের শিকার ১৮ বছর বয়সী গৃহকর্মী নিয়াসার বাড়ি সিলেটের রূপনগর এলাকায়। তার বাবার নাম আরিকুল ইসলাম।
সংসারের অভাব-অনটনের কারণে গত এক বছর ধরে উত্তরা পশ্চিম থানার ৯ নম্বর সেক্টরের একটি বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন নিয়াসা।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত বুধবার গৃহকর্তার মেয়ে তানজিনা রহমান তার কাছে ভাত চেয়েছিলেন।
‘ভাত এখনো হয়নি, চুলায় রয়েছে’ জানালে তানজিনা ক্ষিপ্ত হয়ে চুলায় ফুটন্ত মাড়সহ ভাত নিয়াসার শরীরে ঢেলে দেন। এতে দগ্ধ হন নিয়াসা।
মেয়েটির নির্যাতনের খবর প্রতিবেশীরা ৯৯৯-এ কল করে থানায় জানান।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিয়াসাকে উদ্ধার করে প্রথমে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসে।
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর বিকালে তাকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) রেফার করা হয়।
মেয়েটির শরীরের ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন।
বিষয়টি প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে আমলে নিয়েছে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে উত্তরার পশ্চিম থানায় পুলিশের করা একটি জিডিমূলে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শনিবার পুলিশ মামলা করে।