পারিবারিক কলহের কারণে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রীর জোবেদা খাতুনকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় স্বামী আবুল কাশেম ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে আসামি আবুল কাশেমকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সুমন মিয়া।
এরপর আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মতি হওয়ায় তা রেকর্ড করার জন্য আদালতে আবেদন করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম আতিকুল ইসলাম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ভাটারার সোলমাইদ পূর্বপাড়া কাজীবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
কাশেম কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতের কাছে থাকা কুড়াল দিয়ে জোবেদার মাথায় কোপ মারলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পুলিশ জানায়, এই দম্পতির ২ সন্তান আছে। ঘটনার সময় তারা তাদের চাচার বাসায় ছিল।
তারা কাজীবাড়িতে ভাড়ার বাসায় থাকতেন ।
কাশেমকে আশপাশের বাসিন্দারা আটক করে এবং তারা পুলিশে খবর দেন।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায় পুলিশ ।
কুড়ালটি আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।
ওই ঘটনায় জোবেদা খাতুনের ভাই আবুল হাসেম আকন্দ ভাটারা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। এসআই সুমন মিয়া বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।