এক নারী লিখেছেন, স্থানীয় একটি ধনাঢ্য পরিবারে বিয়ে হয় তার। স্বামী সুদর্শন ও শিক্ষিত। ঘরে নয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকেই নানা অজুহাতে স্বামী তাকে নানাভাবে অপমান-অপদস্থ করে আসছেন। স্বামী প্রায়ই তার গায়ে হাত তুলতেন। দীর্ঘদিন নানা অপমান ও নিপীড়ন সহ্য করে সংসার করছিলেন সেই নারী। সংসার করার জন্য সব চেষ্টাই করেছেন তিনি।
তারপরও বেশ কিছুদিন আগে সন্তানসহ শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে বের করে দেয়া হয়। সন্তানকে নিয়ে তিনি আশ্রয় নেন ভাইয়ের বাড়ি। তার আর যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। সন্তান নিয়ে তিনি ভীষণ বিপদে পড়েছেন।
কোনো উপায় না দেখে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে লেখেন তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য। তবে তিনি কোনোভাবেই তার স্বামী বা তার শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করতে আগ্রহী নন। বরং সংসার করতে চান। সম্মানের সঙ্গেই সন্তানকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ওই নারীর বার্তা পাওয়ামাত্রই বিষয়টি কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদের কাছে পাঠিয়ে দিই। তাকে নির্দেশনা দিই ওই নারীকে আইনি সহায়তা দিতে। ওসি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ তাৎক্ষণিকভাবে উদ্যোগী হয়ে তাকে তার শ্বশুরবাড়িতে তুলে দেন।
‘ওই নারীর স্বামীকে বলা হয়েছে, তার কাছ থেকে পুনরায় কোনো অভিযোগ এলে তাকে কঠিন আইনি পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে। ওই নারীর নিরাপত্তা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় পুলিশ প্রবলভাবে তার পাশে থাকবে বলে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সতর্ক করা হয়েছে।’
মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে উল্লেখ করে সোহেল রানা জানান, যেকোনো প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জন্য তাকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ওই নারীর অনুরোধে উভয় পক্ষের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি বলেও জানান তিনি।