বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডাক্তার সেজে করোনার জাল সনদ বিক্রি, ৪ জন রিমান্ডে

  •    
  • ৮ জুন, ২০২১ ১৮:৩০

তেজগাঁও থানাধীন পুরাতন এয়ারপোর্ট রোডের বিজয় সরণির ‘সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার’ নামক প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে সোমবার তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পুলিশ বলছে, তারা নিজেরাই ডাক্তার সেজে কোভিড-১৯ এর জাল সনদ তৈরির পাশাপাশি বিদেশগামী যাত্রীদের কাছে তা বিক্রি করতেন।

করোনাভাইরাস পরীক্ষার জাল সনদ বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার চারজনকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

তারা হলেন- মো. ইলিয়াস, দীপক চন্দ্র বৈদ্য, জাকির হোসেন ও মো. নুরনবী।

পুলিশ বলছে, তারা নিজেরাই ডাক্তার সেজে কোভিড-১৯ এর জাল সনদ তৈরির পাশাপাশি বিদেশগামী যাত্রীদের কাছে তা বিক্রি করতেন।

সোমবার তেজগাঁও থানাধীন পুরাতন এয়ারপোর্ট রোডের বিজয় সরণির ‘সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার’ নামক প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ ঘটনায় নায়েব সুবেদার সামসুল আলম তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করেন।

মামলায় মঙ্গলবার বিকেলে চার আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই হযরত আলী মিলন তাদেরকে পাঁচ দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, আসামিরা অত্যন্ত চতুর প্রকৃতির। তারা একটি সংঘবদ্ধ জাল সনদপত্র জালিয়াতি চক্রের সক্রিয় সদস্য। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আসামিরা নিজেরাই ডাক্তার সেজে কোভিড-১৯ এর জাল সনদ তৈরিসহ বিদেশগামী যাত্রীদের কাছে তা বিক্রি করে নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করতেন।

জাল সনদকে খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করণের লক্ষ্যে বিভিন্ন লোকজনের কাছে এই জাল সনদপত্র বিক্রি করতেন। তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র, যার সদস্যরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন। এই ধরনের অপরাধীরা জাল সনদপত্র তৈরি করে দেশের জনগণের ব্যাপক ক্ষতি করছে।

এ অবস্থায় ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন, সংঘবদ্ধ জাল সনদপত্র জালিয়াতি চক্রের সক্রিয় সদস্যদের গ্রেপ্তার এবং আসামিদের কাছে থাকা আরও জাল সনদ উদ্ধারের জন্য তাদেরকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম মামুনুর রশীদ প্রত্যেকের দুই দিন করে অনুমতি দেন।

শুনানিতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।

এ বিভাগের আরো খবর