বস্তিবাসীদের জন্য স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মঙ্গলবার দুপুরের দিকে দেখতে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমার কথা হলো, সরকারের প্রথম প্রায়োরিটি হওয়া উচিত এদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা। দুই, এখানে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’
সাততলা বস্তিতে সোমবার ভোররাতে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস থেকে বলা হয়েছে, বস্তিটির প্রায় ২ হাজার ঘর আছে, যার অর্ধেকই পুড়ে ছাই।
মালামালের সব হারিয়েছে কয়েক শ পরিবার। দিন আনে দিনে খায় গোছের মানুষগুলোর ঠাঁই এখন আকাশের নিচে। নির্মম আগুনে নির্বাক তারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগুনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে, কী কারণে আগুন লাগল, কেন লাগল। এদের (বস্তিবাসীদের) জন্য দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থা কী করা যায়, তার জন্য অবশ্যই সরকারকে পরিকল্পনা নিতে হবে।
‘এখানে ভাসমান মানুষ কেউ গৃহপরিচারিকার কাজ করে, কেউ রিকশা চালায়, কেউ বুট পালিশ করে। একেবারেই বাস্তুহারা ছিন্নমূল মানুষগুলো এই ধরনের বস্তিতে বসবাস করে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে ৫০ বছর হয়ে গেল, কিন্তু মানুষের মৌলিক যে অধিকার, প্রতিটি মানুষের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করা; অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান মানুষের মৌলিক অধিকার। দুর্ভাগ্য স্বাধীনতার ৫০ বছরেও আমরা সেটা করতে পারিনি।
‘আজকে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকার মেগা প্রজেক্ট করছে। ১০ হাজার টাকার প্রজেক্ট ৫০ হাজার হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই ছিন্নমূল মানুষগুলোর জন্য কেউ কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। কঠিন কাজ নাতো। বাংলাদেশে সরকারের যে জমি, সেই জমিগুলোই তো বরাদ্দ করা যায়।’