বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘আল-কায়েদার অনুসারী’ গ্রেপ্তার, ৩ দিনের রিমান্ডে

  •    
  • ৮ জুন, ২০২১ ১৩:১০

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণা, সোহাগ আল-কায়েদা ইন সাবকন্টিনেন্টের (একিউআইএস) সদস্য। কার মাধ্যমে তিনি জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন রিমান্ডে নিয়ে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর পিসি কালচার হাউজিং এলাকা থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

গ্রেপ্তার যুবকের বয়স ২৮ বছর। তার বাড়ি গোপালগঞ্জে। গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

সিটিটিসির সিটি ইন্টেল বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের ভাষ্য, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অনলাইনে ভুয়া পরিচয়ে জঙ্গিবাদ প্রচারের কথা স্বীকার করেছেন যুবক। তিনি জানিয়েছেন, আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেন তার জীবনের শ্রেষ্ঠ আদর্শ।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারণা, সোহাগ আল-কায়েদা ইন সাবকন্টিনেন্টের (একিউআইএস) সদস্য। কার মাধ্যমে তিনি জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

সিটি ইন্টেল বিভাগের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, সোহাগ অনলাইনে আল-কায়েদার বিভিন্ন ভিডিও কন্টেন্ট প্রচার করে আসছিলেন। ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে জিহাদি কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর টেষ্টা করছিলেন।

গত ১ মার্চ থেকে ৪ জুন পর্যন্ত অনলাইন মনিটরিং করার সময় পুলিশের সাইবার ইন্টেলের সদস্যরা দেখতে পান, ‘খালিদ ইবনে ওয়ালিদ’ নামের আইডি থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন উসকানিমূলক ও জঙ্গিবাদী ছবি পোস্ট ও আপলোড করা হয়। এর মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ সমাজে জঙ্গিবাদ প্রচারের চেষ্টা করা হয়। এর নেপথ্যে সোহাগ ও তার সহযোগীরা জড়িত।

সিটিটিসি বলছে, সোহাগ ও তার সহযোগীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মিথ্যা তথ্য প্রচার করে আসছিল। রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করে, বিভ্রান্তি ছড়িয়ে এবং রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য প্রচার করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করছিলেন।

এসব অভিযোগে গত রোববার রাজধানীর রমনা থানায় সোহাগ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।

মামলার তদন্তকালে সাইবার ইন্টেল টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. আতিকুল হক প্রধান ও সাইদ নাসিরুল্লাহর নেতৃত্বে একটি টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সোহাগকে শনাক্ত করে রোববার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের পিসি কালচার হাউজিংয়ের ক ব্লকের ৬ নম্বর রোডের ১৪৯/ক নম্বর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় একটি মোবাইল ফোন ও একটি সিমকার্ড জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

সোমবার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোহাগকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে পেতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড দেন বিচারক।

সিটিটিসির সিটি ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মিশুক চাকমা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সোহাগকে গ্রেপ্তার করেছি। তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর