অবৈধ গ্যাস বা বিদ্যুৎ-সংযোগ থেকে রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন।
সাততলা বস্তিতে সোমবার ভোররাত চারটার দিকে লাগা আগুনে কয়েক শ ঘর পুড়ে গেছে।
বস্তিতে আগুন ধরা নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ‘আগুন ছড়িয়ে পড়ার সব উপাদানই বস্তিতে ছিল। এই বস্তি সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে।
‘এখানে অবৈধ গ্যাস ও বিদ্যুৎ-সংযোগও রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস বা বিদ্যুৎ-সংযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
সাজ্জাদ জানান, বস্তির ঘরবাড়ি বাঁশ ও কাঠের কাঠামোতে তৈরি করা হয়েছে। ফলে আগুন সহজেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। দক্ষিণা বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে কিছুটা সময় লেগেছে।
প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা যায়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিজি।
আগুনে পুড়ে গেছে সাততলা বস্তির প্রায় এক হাজার ঘর। ছবি: নিউজবাংলাএর আগে ভোররাতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
আগুন ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়লে আরও ১৪টি ইউনিট যোগ দেয়।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় বলে জানান সাজ্জাদ হোসেন। তবে খবর পাওয়ার ১৩ মিনিটের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পেরেছে বলেও জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক শাহজাহান শিকদার নিউজবাংলাকে জানান, পুরো বস্তিজুড়ে কাঠ ও টিনশেডের দুই হাজার ঘর রয়েছে। এর অর্ধেকই পুড়ে গেছে।
আগুনের ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগেও মহাখালীর এই সাততলা বস্তিতে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ২০১২, ২০১৫, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে আগুন লাগে। ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর রাতেও অগ্নিকাণ্ডে ওই বস্তিতে দেড় শতাধিক ঘর পুড়ে যায়।
তদন্ত কমিটি
মহাখালীর সাততলা বস্তির আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক নুর হাসানকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের পর আগুন লাগার সঠিক কারণ বেরিয়ে আসবে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিজি।