রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে লাগা আগুনে শ শ ঘর পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার কামরুল হাসান বলেন, সাতটি স্টেশনের ১৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। সোমবার সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
তিনি জানান, বস্তিতে আগুন লাগার খবর ফায়ার সার্ভিস পায় সোমবার ভোর ৩টা ৫৯ মিনিটে। প্রথমে তাদের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করে। এরপর আরও ১৪টি ইউনিট যোগ দেয়।
এ ছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে র্যাব, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা কাজ করেন।
আগুনে এক হাজারের বেশি ঘর পুড়ে গেছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বলেন, বস্তিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার সব উপাদানই ছিল। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এই বস্তিতে অসংখ্য অবৈধ গ্যাস, বিদ্যুৎ-সংযোগ আছে। এসব থেকেই বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বস্তির বেশির ভাগ অবকাঠামো গড়ে উঠেছে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে। তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। সেই সঙ্গে দক্ষিণা বাতাসে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস তাৎক্ষণিক পৌঁছে কাজ শুরু করে।
প্রাথমিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা যায়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক শাহজাহান শিকদার নিউজবাংলাকে জানান, পুরো বস্তিজুড়ে কাঠ ও টিনশেডের প্রায় দুই হাজার ঘর রয়েছে। এর অর্ধেকই পুড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
আগুনের ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনা তদন্তে ও ক্ষতি নির্ধারণে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহজাহান শিকদার।
মহাখালীর সাততলা বস্তিতে এর আগে ২৩ নভেম্বর আগুন লাগে। সেদিন মধ্যরাতে লাগা আগুনে দেড় শতাধিক ঘর পুড়ে যায়।