নিষিদ্ধ মাদক এলএসডিসহ গ্রেপ্তার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে রোববার।
তারা হলেন- সাইফুল ইসলাম সাইফ, এসএম মনওয়ার আকিব, নাজমুস সাকিব, নাজমুল ইসলাম ও বিএম সিরাজুস সালেকীন।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে রোববার তাদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জামিন আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম বাকি বিল্লাহ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত রোববার রাজধানীর শাহজাহানপুর, রামপুরা, বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এলএসডি বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ২০০০ মাইক্রোগ্রাম এলসডি, আইস ও গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
পরে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আব্দুল আহাদ জানান, ঢাকায় এলএসডি বিক্রিতে ১৪ থেকে ১৫টি গ্রুপ জড়িত।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর জেরে তার কয়েকজন বন্ধুকে আটকের পর আলোচনায় আসে এই মাদক।
তবে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, ২০১৯ সালেও কানাডাপ্রবাসী দুই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এলএসডি উদ্ধার করা হয়েছিল।
মাদক সেবন করেন এমন ব্যক্তিরা দাবি করছেন, অন্তত চার বছর ধরে বাংলাদেশে এলএসডি পাওয়া যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি চক্র এই নিষিদ্ধ মাদক আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশ থেকে কুরিয়ারের মাধ্যমে দেশে নিয়ে আসে।
‘ডার্ক ওয়েব’ ও ‘টেলিগ্রাম’ -এর মতো সিকিউরড সোশ্যাল অ্যাপ ব্যবহার করে বিদেশি বিক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকেন বাংলাদেশি ক্রেতা ও ডিলাররা।
এলএসডি মাদক মানুষের মধ্যে বিভ্রম (হেলুসিনেশন) তৈরি করে। এটা সেবন করার পর মস্তিষ্কে হেলুসিনোজেনিক অ্যাফেক্ট তৈরি হয়, যা ব্যক্তির ব্যবহার ও চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বিশেষ করে এটা গ্রহণের পর সাধারণভাবে যে ধরনের রং প্রকৃতিতে দেখা যায়, তার থেকেও বেশি রং দেখতে পাওয়া যায়।