রাজধানীর পল্লবীর সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালকে চাঁদাবাজির একটি মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার বিকেলে আউয়াল ও চাঁদাবাজির মামলার আরেক আসামি মো. টিটুকে ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের (সিএমএম) হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার উপ পরিদর্শক অনয় কুমার।
শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস।
পল্লবী থানায় গত মাসে ২০ জনের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলাটি করেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোস্তফা কামাল। এই মামলায় গত বুধবার আসামিদের দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান সিএমএমের হাকিম হাসিবুল হকের ভার্চুয়াল আদালত।
আউয়ালের মতো টিটুও সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলারও। সাহিনুদ্দিনের আপন চাচাতো বোনের ছেলে টিটু।
এর আগে সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলায় সাবেক সাংসদ এবং ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান আউয়ালকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। ওই রিমান্ড শেষে তাকে ২৬ মে কারাগারে পাঠানো হয়। এক সপ্তাহ পর রিমান্ডে পাঠানো হয় চাঁদাবাজির মামলায়।
গত ১৬ মে পল্লবীতে ৬ বছরের ছেলের সামনে সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই দিন বিকেল সাড়ে চারটায় পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের ৩১ নম্বর রোডের ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে ঘটনাটি ঘটে। সাহিনুদ্দিন পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনে সিরামিক রোডের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা বেগম আউয়ালসহ ২০ জনের নামে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।