পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের মোবাইল ফোন ছিনতাইকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বললেও এই ঘটনায় মানুষের মনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, সেটি স্বীকার করছে সরকার।
সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সভাপতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘মন্ত্রীর মোবাইল নিয়েছে বলেই... অবশ্যই প্রশ্ন জাগে যে মন্ত্রীরটা নিলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কী?’
রোববার রাতে ঢাকার বিজয় সরণী মোড়ে গাড়িতে বসে ফোনে কথা বলার সময় পরিকল্পনা মন্ত্রীর ফোন টান দিয়ে নিয়ে যায় কেউ একজন। মঙ্গলবার এই ঘটনাটি প্রকাশ পায়। আর ফেসবুকে বলাবলি হতে থাকে, মন্ত্রীর ফোনের যখন নিরাপত্তা নেই তখন সাধারণ মানুষের কী অবস্থা।
বুধবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এটা উদ্বেগের কথা, কিন্তু আমরা সকলের জন্য উৎকণ্ঠিত। এখন রাস্তাঘাটে যে ছিনতাই একেইবারে হচ্ছে না, তা কিন্তু নয়। হচ্ছে এবং প্রতিকারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা
তবে এটিকে ‘একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবেও মনে করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বলেন, ‘এতে সামগ্রিক জিনিস প্রতিফলিত হয় না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিক্ষিপ্তভাবে অনেক অপরাধের কথা বলা হয়েছে। অনেক অপরাধ হচ্ছে, ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মাননীয় মন্ত্রীর কাছ থেকে বা কোনো নাগরিকের কাছ থেকে এভাবে মোবাইল নেয়া বা দুর্বৃত্তায়ন, খুন, হত্যা এগুলো প্রতিনিয়ত হচ্ছে, সব দেশেই হচ্ছে। তার অর্থ, এই না যে এটা সামগ্রিক চিত্র। আমি সামগ্রিক চিত্রের কথা বলছি।’
মোবাইল ফোন ছিনতাই কোনো নতুন ঘটনা নয়। প্রায়ই এখানে সেখানে এর শিকার হয় নগরবাসী। এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগই করে না বেশিরভাগ মানুষ। কারণ, অভিযোগ করলেও পুলিশের তৎপরতা থাকে না বললেই চলে। যদিও মাঝেমধ্যে দুই একটি ফোন উদ্ধার করে মালিকের হাতে তুলে দিয়ে তার ব্যাপক প্রচার চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশকে তাগিদ দেয়া হয়েছে যে এ সমস্ত গ্যাং… এগুলোর তো একটা চক্র থাকে। নিয়ে কোথায় বিক্রি করে…’
অপরাধ হলেও অপরাধীদের শনাক্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।