রাজধানীর কলাবাগানে চিকিৎসক সাবিরা রহমান লিপির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় আগামী ৮ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মামলার এজাহার বুধবার আদালতে আসলে ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম রাজেশ চৌধুরী গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম রাব্বানীকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় আদালত।
মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে সাবিরার মামাতো ভাই রেজাউল হাসান মজুমদার জুয়েল বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে আসামি হিসেবে কারও নাম উল্লেখ না করলেও সাবিরার ফ্ল্যাটে সাবলেট থাকা এক মডেলকে সন্দেহ করা হয়েছে।
গত সোমবার কলাবাগানের প্রথম লেনের ৫০/১ তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে এক চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করে কলাবাগান থানা পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সামিরার মরদেহ বিছানার ওপর উপুড় করে ফেলা ছিল। শরীরের বিভিন্ন অংশ পোড়া ও জায়গায় জায়গায় ফোসকা পড়া। তার পিঠের নিচের অংশে পাশাপাশি চারটি ধারালো অস্ত্রের ক্ষত। বাম চোয়ালের নিচে গলার বাম দিকে ধারালো অস্ত্রের দুটি গভীর আঘাত, যা জবাই করার মতো। বিছানার বেশ কিছুটা অংশ পোড়া ও মেঝেতে ছাই ছড়িয়ে ছিল।
৪৬ বছর বয়সী সাবিরা গ্রিন লাইফ হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাফি বিভাগের একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার প্রথম স্বামী ২০০৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর ২০০৫ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন সাবিরা। উভয় পক্ষের এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে তার।