ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, অবৈধ দখলদারদের নামে কোনো বৈধ নোটিশ ইস্যু করা হবে না, বিনা নোটিশেই তাদের উচ্ছেদ করা হবে।
বুধবার মিরপুর-১৪ নম্বর এলাকার বাউনিয়া খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা জানান।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, খালটি ৬০ ফুট প্রশস্ত থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে তা নেই। এর আগে একাধিকবার চেষ্টা করেও খালটি উদ্ধার করা যায়নি বলেই আজ বিনা নোটিশেই এই অভিযান পরিচালনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক নগরীর খাল ও নদীগুলো উদ্ধার করে তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। যারা অবৈধভাবে খাল ও নদী দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে হবে; অন্যথায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।’
দখলদারদের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র আতিকুল বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অবৈধ দখলে থাকা সরকারি জমিগুলো উদ্ধার করে সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে সুপরিকল্পিত তিনটি জলাধারের জন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু জলাধারের জন্য নির্ধারিত জমির অধিকাংশই অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে ডিএনসিসি বিভিন্ন জায়গায় খাল উদ্ধার ও পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেছে এবং জনগণের সহায়তায় তা অব্যাহত থাকবে। প্রতিটি খালের দুই পাড়ের সীমানা নির্ধারণ করে তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি জানান, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। দুই বছরের মধ্যেই নগরবাসী এর সুফল পাবেন।
‘মেয়র আতিক কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী বলেই পয়লা জুন ঢাকায় দীর্ঘ সময় ধরে রেকর্ড ৮৫ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টিপাত হলেও দ্রুততম সময়ের মধ্যেই নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে’, বলেন ডিএনসিসি মেয়র।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এম সাইদুর রহমান ও স্থানীয় কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।