অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন। তাদের অভিযোগ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিশু-কিশোররা পড়ার টেবিল ছেড়ে দিয়ে অটো পাসের অপেক্ষায়।
বুধবার দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এ কথা বলা হয়।
কর্মসূচিতে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, ‘লাগাতার ১৬ মাস স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। মাঝখানে কিছুদিন কওমি মাদ্রাসা চালু থাকলেও আবার তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।… শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিল ছেড়ে এবারও অটো পাসের অপেক্ষায়।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে বৃহস্পতিবার সারা দেশে মানববন্ধন এবং পাসপোর্ট থেকে ইসরায়েল শব্দ বাদ দেয়ার প্রতিবাদে শনিবার ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণাও দেয়া হয়।
করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। চলতি বছরের মে মাসে খোলার তারিখ দিলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকলে আর খোলা হয়নি।
স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় গত বছর বার্ষিকী পরীক্ষা হয়নি। পঞ্চম শ্রেণি ও অষ্টম শ্রেণি সমাপনীও নেয়া হয়নি। বাতিল করা হয় এইচএসসি পরীক্ষাও। সব শিক্ষার্থীকে পাস করিয়ে পরের ক্লাসে ওঠার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
সরকারের শেষ ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৩ জুনের মধ্যে পরীক্ষার বিবেচনায় করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। তবে এই হার এখন ১০ শতাংশের আশপাশে।
ইসলামী আন্দোলনের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসে ভিনদেশি চক্রান্ত কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে অভিভাবকদের কোনো চাপ নেই। কিন্তু অভিভাবকদের চাপ তো শিক্ষকদের কাছে। আমরা শিক্ষক, অভিযোগ আমাদের কাছে।’
দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইমতিয়াজ আলম এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন।