সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট দেয়ার অভিযোগে বিতর্কিত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক ইথুন বাবু।
বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে বুধবার ইথুন বাবু তার আইনজীবী ফারুক আহমেদের মাধ্যমে মামলাটির আবেদন করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে জানায়, আদেশ দেয়া হবে পরে।
বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের পিপি নজরুল ইসলাম শামীম এ তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেজ ‘নোবেল ম্যান’ থেকে ইথুন বাবুকে ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে নোবেল লেখেন, ‘ইথুন বাবু একটা চোর। অন্যের গান নিজের নামে চালায় দিসে’।
নোবেলের এমন স্ট্যাটাস ইথুন বাবুর ভক্ত-শ্রোতা, আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্খীরা দেখতে পেয়ে তাকে অবগত করেন।
গত ২৪ মে তিনি হাতিরঝিল থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ না করে সাধারণ ডায়েরি বা জিডি নেয়।
নোবেল ইচ্ছাকৃতভাবে ইথুন বাবুকে অপমান, অপদস্ত, হেয় প্রতিপন্ন করতে জেনে-বুঝে আক্রমণাত্মক ও ভয়ভীতি দেখানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইথুন বাবুর বিরুদ্ধে এসব প্রচার করছে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইথুন বাবু আদলতকে মামলাটি নথিবদ্ধ করে নোবেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেন।
গত কিছুদিন থেকেই নানান বিতর্কিত কাজ করে আলোচনায় এসেছেন নোবেল। তিনি তার ফেসবুকে সংগীতশিল্পী জেমস, সুরকার ও গীতিকার ইথুন বাবুসহ নানা জনকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। সে সময় জানান, তার ফেসবুক হ্যাকড হয়েছে।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক আল কাছিরকে ‘জেলে পুরবেন’ বলে হুমকি দিলে ১৭ মে কলাবাগান থানায় নোবেলের নামে জিডি হয়।
১৯ মে নোবেল ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার নাজমুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার পর তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ইথুন বাবু, জেমস ও সাংবাদিক আল কাছিরের কাছে ক্ষমা চান।