রাজধানী থেকে উদ্ধার করা বস্তাবন্দি হাত-পা ও মাথাহীন মরদেহটি ময়না মিয়া নামে এক ব্যক্তির বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাহিনীটি বলছে, দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে থাকার কারণে ময়নাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে প্রথম স্ত্রী।
মহাখালী কাঁচা বাজারের পাশে মসজিদ গলি থেকে গত রোববার রাতে হাত-পা ও মাথা কাটা বস্তাবন্দি একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই রাতেই মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় আরও একটি বস্তায় দুই হাত এবং দুই পা পাওয়া যায়। আর সোমবার সকালের দিকে গুলশান লেক থেকে উদ্ধার করা হয় একটি মাথা।
ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ নিশ্চিত হয়, উদ্ধার হওয়া অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো একই ব্যক্তির। ওই ব্যক্তির নাম ময়না মিয়া। পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। থাকতেন রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে।
ময়নার পরিচয় শনাক্তের পরই তার প্রথম স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ। তার প্রাথমিক জবানবন্দির ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে পুলিশ।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে স্বামী ময়না মিয়াকে প্রথমে অচেতন করেন তার প্রথম স্ত্রী। এরপর স্কচটেপে মুখ এবং ওড়না হাত পা বেঁধে ময়নাকে জবাই করা হয়। জবাই করে হত্যার পর ঘরে বসেই হাত পা, গলা কেটে আলাদা করে হাত পা বিহীন বডি ফেলা হয় মহাখালী আমতলীতে। হাত পা ফেলে দেয় মহাখালীর এনা কাউন্টারের পাশে আর মাথা ফেলে দেয় বনানী ১১ নম্বর ব্রিজের নিচে।
প্রথম স্ত্রীকে রেখে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে থাকার কারণে পরিকল্পনা করে ময়না মিয়াকে হত্যা করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, রোববার রাতেই এ ঘটনায় নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। এ মামলায় প্রথম স্ত্রীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে আদালতে তোলার প্রস্তুতি চলছে।