রাজধানীর পল্লবীতে ছয় বছরের শিশুপুত্রের সামনে সাহিনুদ্দীন মানিককে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামি বাবু ওরফে কালা বাবু ওরফে কালু ওরফে শেখ রাসেল হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
তিন দিনের রিমান্ড শেষে সোমবার কালা বাবুকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পু্লিশ।
এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিমের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন (নিরস্ত্র)।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম কালা বাবুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার তিন দিনের জন্য রিমান্ড দেয় ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত।
গত ১৬ মে পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের ৩১ নম্বর রোডে ছয় বছরের সন্তানের সামনে সাহিনুদ্দীনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ঘটনার পরদিন পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গত ২০ মে এম এ আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। চার দিনের রিমান্ড শেষে তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৬ মে বিকেল ৪টায় সুমন ও টিটু নামে দুই যুবক সাহিনুদ্দীনকে জমির বিরোধ মেটানোর কথা বলে ফোন করে ডেকে নেন।
সাহিন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে পৌঁছালে সুমন ও টিটুসহ ১৪-১৫ জন মিলে তাকে টেনেহিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যান। এ সময় সাহিনের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল।
গ্যারেজে ঢুকিয়ে সাহিনকে চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তারা। এরপর তাকে সেখান থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে ফের কুপিয়ে সেখানে ফেলে রাখা হয়।
নিহতের মা আকলিমা বেগমের অভিযোগ, পল্লবীর সেকশন-১২ বুড়িরটেকের আলীনগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেলি প্রোপার্টিজ ডেভেলপার লিমিটেডের এমডি এম এ আউয়ালের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাড়া করা স্থানীয় সন্ত্রাসীরা সাহিনকে হত্যা করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকেও বলা হয়েছে, আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের ১০ একর জমি জবরদখলে বাধা দেয়ার জের ধরে সাহিনকে হত্যা করা হয়েছে।