বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এলএসডি বিক্রিতে ঢাকায় সক্রিয় ১৫ গ্রুপ

  •    
  • ৩০ মে, ২০২১ ২০:৪৩

এর একটি গ্রুপকে রোববার রাজধানীর শাহজাহানপুর, রামপুরা, বাড্ডা ও ভাটারা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে খিলগাঁও থানা পুলিশ। এদের সবাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের কাছ থেকে ২০০০ মাইক্রোগ্রাম এলসডি, আইস ও গাজা উদ্ধার করা হয়।

ঢাকায় ভয়াবহ মাদক এলএসডি বিক্রিতে ১৫টি গ্রুপের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে একটি গ্রুপকে আটক করা হয়েছে।

রাজধানীর শাহজাহানপুর, রামপুরা, বাড্ডা ও ভাটারা এলাকা থেকে রোববার এলএসডি বিক্রির সঙ্গে জড়িত একটি গ্রুপের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে খিলগাঁও থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: সাইফুল ইসলাম সাইফ, এসএম মনওয়ার আকিব, নাজমুস সাকিব, নাজমুল ইসলাম ও বিএম সিরাজুস সালেকীন। এদের সবাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের কাছ থেকে ২০০০ মাইক্রোগ্রাম এলসডি, আইস ও গাজা উদ্ধার করা হয়।

সন্ধ্যায় পল্টন থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আব্দুল আহাদ।

এলএসডি বিক্রিতে জড়িত গ্রুপগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রুপগুলো গত এক বছর ধরে এলএসডি বিক্রি ও সেবন করে আসছিল। অনলাইনে এলএসডি বিক্রি করত তারা।’

তিনি জানান, আটক ব্যক্তিরা অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আসক্ত হয়। নিজেরা সেবন ও বিক্রি শুরু করে। ইউরোপীয়ান বিভিন্ন দেশ থেকে তারা এলএসডি দেশে এনে বিক্রি করছিলেন তারা।

দেশে এলএসডি কিভাবে আসে এমন প্রশ্নে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘কুরিয়ার ও ল্যাগেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেশে এলএসডি আসে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ১৪-১৫টি গ্রুপ দেশে এলএসডি বিক্রিতে সক্রিয়। আমরা এই গ্রুপগুলোর সকল সদস্যকে আইনের আওতায় আনতে পারব বলে আশা করি।’

দেশে এই গ্রুপগুলো কতদিন ধরে সক্রিয় জানতে চাইলে পুলিশের তিনি জানান, গত এক বছর ধরে এসএসডি মাদকের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া গত এক বছর ধরে তারা এলএসডি সেবন করছে বলে জানা গেছে। তবে গ্রুপের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তার করলে বুঝতে পারব তারা দেশে কত দিন ধরে সক্রিয়।

মাদক হিসেবে ভয়ংকর এলএসডি, যার পুরো নাম লাইসারজিক অ্যাসিড ডাইথেলামাইড।

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর জেরে তার কয়েকজন বন্ধুকে আটকের পর আলোচনায় আসে এই মাদক।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, এলএসডি ২০১৯ সালেও কানাডাপ্রবাসী দুই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এলএসডি উদ্ধার করা হয়েছিল।

মাদক সেবন করেন এমন ব্যক্তিরা দাবি করছেন, অন্তত চার বছর ধরে বাংলাদেশে এলএসডি পাওয়া যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি চক্র এই নিষিদ্ধ মাদক আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশ থেকে কুরিয়ারের মাধ্যমে দেশে নিয়ে আসে।

‘ডার্ক ওয়েব’ ও ‘টেলিগ্রাম’ -এর মতো সিকিউরড সোশ্যাল অ্যাপ ব্যবহার করে বিদেশি বিক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকেন বাংলাদেশি ক্রেতা ও ডিলাররা।

এলএসডি মাদক মানুষের মধ্যে বিভ্রম (হেলুসিনেশন) তৈরি করে। এটা সেবন করার পর মস্তিষ্কে হেলুসিনোজেনিক অ্যাফেক্ট তৈরি হয়, যা ব্যক্তির ব্যবহার ও চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বিশেষ করে এটা গ্রহণের পর সাধারণভাবে যে ধরনের রং প্রকৃতিতে দেখা যায়, তার থেকেও বেশি রং দেখতে পাওয়া যায়।

এ বিভাগের আরো খবর