ভারতের কেরালা রাজ্যে বাংলাদেশি তরুণীকে যৌন নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় মামলা করেছেন তার বাবা।
ভিডিও দেখে নিজের মেয়েকে শনাক্তের পর বৃহস্পতিবার রাতে হাতিরঝিল থানায় মানবপাচারের মামলাটি করেন তিনি।
মামলায় মানবপাচার প্রতিরোধ দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা দেয়া হয়েছে।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, কয়েক দিন ধরে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে শারীরিক ও যৌন নিপীড়ন করতে দেখা যায় তিন-চার যুবক ও এক মেয়েকে।
ভারতের কেরালায় হওয়া ওই ঘটনায় ভিকটিম ও নিপীড়কদের একজন বাংলাদেশি নাগরিক। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিপীড়ক যুবক রাজধানীর হাতিরঝিলের মগবাজার এলাকার রিফাতুল ইসলাম হৃদয়। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘টিকটক হৃদয় বাবু’ নামে পরিচিত।
এ ঘটনায় করা মামলার এজাহারে মেয়েটির বাবা জানান, তিনি মগবাজার এলাকার ফুটপাতে ব্যবসা করেন। তার মেয়ের ৬-৭ বছর আগে বিয়ে হয়। স্বামী তিন বছর ধরে কুয়েতে থাকেন। স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর থেকে তার মেয়ে তার ও শ্বশুরবাড়ি দুই জায়গায়ই থাকতো।
তিনি আরও জানান, তার মেয়ে ১৫ মাস আগে দুবাই যাওয়ার কথা বললে তিনি নিষেধ করেন। পরে ১ বছর ধরে তিনি তার কোনো খোঁজ পাননি। এরপর তিনি জানতে পারেন, মগবাজারের রিফাদুল ইসলাম ওরফে টিকটক হৃদয় তাকে ফুঁসলিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করেছে।
কিছুদিন আগে জানতে পারেন, তার মেয়ে হৃদয়ের সঙ্গে ভারতে আছে। সম্প্রতি ভিডিওটি দেখে তিনি তার মেয়েকে চিনতে পারেন।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশীদ জানান, তরুণীর বাবা থানায় মামলা করেছেন। এখন তারা তদন্ত শুরু করবেন এবং ভুক্তভোগীকে দেশে ফিরিয়ে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। এ ছাড়া আসামিদের ভারতের পুলিশের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।