ঢাকা নগরীর উন্মুক্ত স্থানে আর বর্জ্য দেখতে চান না বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বৃহস্পতিবার নগরীর ৪০নং ওয়ার্ডে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা গত বছর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে ঢেলে সাজিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য প্রত্যেক ওয়ার্ডে একটি করে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র থাকবে এবং সেখান থেকেই বর্জ্য অপসারিত হবে। আমরা ঢাকা শহরের উন্মুক্ত স্থান আর বর্জ্য দেখতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সূচি করে দিয়েছি। সেই সূচি অনুযায়ী বাসাবাড়ি, স্থাপনা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের নিবন্ধিত প্রাথমিক বর্জ্য সেবা সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান বর্জ্য সংগ্রহ করে তা অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে নিয়ে যাবে এবং সেখান থেকেই আমরা তা ভাগাড়ে নিয়ে যাব।’
ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রত্যেক ওয়ার্ডে অন্তবর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব জমির অভাব রয়েছে। আমরা বিভিন্ন সংস্থা থেকে জমি নিচ্ছি। আমরা রেলওয়ের কাছে চেয়েছি, অন্যান্য কর্তৃপক্ষের কাছে চেয়েছি, যেন আমাদেরকে পর্যাপ্ত জমি দেয়া হয়। যাতে করে আমরা এসব অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করতে পারি।’
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আধুনিকায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আগামী বছরের মধ্যে ৩০টি কম্পেক্টি ক্রয় করব, যার মাধ্যমে আমরা বর্জ্যগুলো সরাসরি কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে নিয়ে যেতে পারব।
‘কারণ আমরা আর কোনোভাবেই উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য দেখতে চাই না। কারণ এসব বর্জ্য নর্দমায় যায় এবং সেখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। কিছুদিন আগে পুরান ঢাকার আগামাসি লেনে যে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছিল সেটার কারণ খুঁজতে গিয়ে আমরা দেখলাম, সেখানে নর্দমাগুলো এসব বর্জ্য দ্বারা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী বোরহান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।