বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাফিজুরের বন্ধুরা দিলেন ভয়ংকর মাদক এলএসডির সন্ধান

  •    
  • ২৭ মে, ২০২১ ১৫:২১

সংবাদ সম্মেলনে ডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুরের ‘মৃত্যুর’ পর তার বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদে দেশে প্রথমবারের মতো সন্ধান মিলেছে এলএসডি মাদকের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমান মৃত্যুর আগে তার বন্ধুদের সঙ্গে মাদক সেবন করেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

ডিবির ভাষ্য, মাদক নেয়ায় হাফিজুর অনেক বেশি উত্তেজিত হয়ে যান।

তবে মাদক নেয়ার কারণে হাফিজুর ‘আত্মহত্যা’ করেছেন কি না, তা নিয়ে কিছু বলা হয়নি সংবাদ সম্মেলনে।

ডিবির তদন্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর এ বিষয়ে বলা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুরের ‘মৃত্যুর’ পর তার বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদে দেশে প্রথমবারের মতো সন্ধান মিলেছে এলএসডি মাদকের।

পুলিশ জানিয়েছে, ২০০ ব্লট এলএসডিসহ তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর ডিবির রমনা বিভাগ। তারা হলেন সাদমান সাকিব রুপল, আসহাব ওয়াদুদ তূর্য ও আদিব আশরাফ।

ডিবির কর্মকর্তা হাফিজ আক্তার জানান, প্রতি ব্লট এলএসডি তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। তাদের ধানমন্ডি ও লালমাটিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এলএসডির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা স্ট্যাম্পের মতো দেখতে। ঠোঁটের নিচে রেখে ব্যবহার করা হয়। এই মাদক নিলে মানুষ অনেক ক্ষেত্রে অ্যাগ্রেসিভ হয়ে যায়।’

হাফিজুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রভিত্তিক (টিএসসি) সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

১৫ মে থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ২৩ মে শাহবাগ থানায় এসে ছবি দেখে ঢাকা মেডিক্যালের মর্গ থেকে লাশ শনাক্ত করেন হাফিজুরের ভাই হাবিবুর রহমান।

এরপর এ ঘটনায় পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষার্থীরা। ২৪ মে সহকারী প্রক্টর লিটন কুমার সাহাকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

লিটন কুমার সাহা বলেন, ‘কমিটির সদস্যদের নিয়ে বসে সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে আমরা দ্রুতই প্রতিবেদন দেয়ার চেষ্টা করব।’

এ বিভাগের আরো খবর