বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পল্লবী হত্যাকাণ্ড: সাবেক এমপি আউয়াল কারাগারে

  •    
  • ২৬ মে, ২০২১ ২১:৩৫

গত ১৬ মে খুনের পরদিন সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা বেগম পল্লবী থানায় ২০ জনের নামে মামলা করেন। প্রধান আসামি করা হয় সাবেক এমপি আউয়ালকে, যিনি ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি নামে একটি দলের চেয়ারম্যান। ৩০ লাখ টাকায় আউয়াল এই খুন করান বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।

রাজধানীর পল্লবীতে সাত বছর বয়সী সন্তানের সামনে ব্যবসায়ী সাহিনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালসহ দুজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বুধবার বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম মাহমুদা আক্তার এ আদেশ দেন৷

তার সঙ্গে কারাগারে যাওয়া অপর আসামি হলেন জহির উদ্দিন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন সাবেক এমপি এম এ আউয়ালসহ তিনজনকে আদালতে হাজির করেন৷

এরপর আসামি আউয়াল ও জহিরকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন৷

এ মামলার আরেক আসামি নুর মোহাম্মদ হাসান ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন একই তদন্ত কর্মকর্তা।

এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জামিনের আবেদন করেন।

গত ২১ মে ঢাকার মুখ্য মহানগর (সিএমএম) আদালত আউয়ালকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠান।

গত ২০ মে ভৈরব এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি এম এ আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব সদস্যরা।

পরে জানা যায়, সাহিনুদ্দিনের জমি দখল করতে তাকে খুন করায় আওয়াল। নিহতের শিশুসন্তান এই খুনের দৃশ্য দেখার পর থেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে।

গত ১৬ মে খুনের পরদিন সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা বেগম পল্লবী থানায় ২০ জনের নামে মামলা করেন। প্রধান আসামি করা হয় সাবেক এমপি আউয়ালকে, যিনি ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি নামে একটি দলের চেয়ারম্যান।

মা আকলিমা বেগমের অভিযোগ, পল্লবীর সেকশন-১২ বুড়িরটেকের আলীনগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেলি প্রোপার্টিজ ডেভেলপার লিমিটেডের এমডি আউয়ালের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা সাহিনুদ্দিনকে হত্যা করেছে।

আলীনগর এলাকায় সাহিনুদ্দিনদের আনুমানিক ৫ কোটি টাকা মূল্যের ১০ একর জমি জবরদখলে বাধা দেয়ায় খুন হতে হয় তাকে।

১৯ মে সকালে হত্যা মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।

৩০ লাখ টাকায় আউয়াল এই খুন করান বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। যারা হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেন বলে অভিযোগ উঠেছে সেই মো. মনির ও মো. মানিক পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

সাহিনুদ্দিন হত্যার ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, মনির চাপাতি দিয়ে সাহিনুদ্দিনের ঘাড়ে একের পর এক কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

এ বিভাগের আরো খবর