ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য ৮০ কার্টন ওষুধ উপহার দিয়েছে বিএনপি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে ইসরায়েলে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তুলে দেয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছে দলটি।
বুধবার দুপুরে ঢাকার বারিধারায় ফিলিস্তিনের দূতাবাসে গিয়ে রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদানের হাতে এই ওষুধ তুলে দেয় দলটির একটি প্রতিনিধিদল। এর নেতৃত্ব দেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খানও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তিনি জানান, ‘৮০ কার্টন ওষুধ দেয়া হয়েছে।’
ওষুধ দিয়ে এসে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে সময় ফিলিস্তিনের মানুষের ওপর নির্যাতন চলছে, সে সময় আমাদের সরকার পাসপোর্ট থেকে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ লেখাটা তুলে দেয়ায় আমাদের দুঃখবোধ হয়েছে। যে মুহূর্তে সারা পৃথিবীর মানুষ স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে, সেই মুহূর্তে আমাদের সরকার এটা করেছে।’
সম্প্রতি হামাসের রকেট হামলার পর ইসরায়েলি বাহিনী গাজার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। এতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পাশাপাশি প্রাণ হারিয়েছে আড়াই শরও বেশি মানুষ।
এই পরিস্থিতিতে ঢাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাস সহায়তার আবেদন জানিয়েছে আর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ব্যাপকভাবে নগদ টাকা আর ওষুধ দিয়ে আসছে।
ঢাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাস নিউজবাংলাকে জানিয়েছে, তারা যে অর্থ সহায়তা পেয়েছে, সেগুলো দিয়ে ওষুধ কিনে পাঠানো হবে তাদের দেশে।
ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যে এই বৈরিতা চলে আসছে ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই। সবশেষ এই সহিংসতার মধ্যেই খবর আসে বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে ইসরায়েলে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তুলে দেয়া হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাসপোর্টের আন্তর্জাতিক মান রক্ষায় এবং র্যাঙ্কিং বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পাল্টায়নি। ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ারও কোনো চিন্তা নেই। আর বাংলাদেশ স্বীকৃতি না দেয়ায় ইসরায়েলে ভ্রমণ নিষিদ্ধই আছে।
কোনো নাগরিক দেশটি ভ্রমণ করলে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।