দেশের বাইরে অবৈধ উপায়ে অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে করা মামলায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
মনির দীর্ঘদিন ধরে দেশের মধ্যে স্বর্ন এবং গাড়ি চোরাচালান সিন্ডিকেট পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
মঙ্গলবার রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার মুখ্যমহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ১৯ মে বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর ভার্চুয়াল আদালতে শুনানির পর তার তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করে।
১৬ মে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছিলেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গত ১১ মে বিকেলে সিআইডির পরিদর্শক মো. ইব্রাহিম হোসেন বাদী হয়ে গোল্ডেন মনিরের স্ত্রী রওশন আক্তার ও ছেলে রাফি হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বাদি হয়ে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন গোল্ডেন মনিরের বোন নাসিমা আক্তার, নাসিমার স্বামী হাসান আলী খান, মনিরের আরেক ভগ্নিপতি নাহিদ হোসেন, গোল্ডেন মনিরের সহযোগী আবদুল হামিদ, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, রিয়াজের ভাই হায়দার আলী এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক।
২০২০ সালের ২০ নভেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সে সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি, বিদেশি মদ ও প্রায় ৯ লাখ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা জব্দ করা হয়।
তার বাসা থেকে আট কেজি স্বর্ণ ও নগদ এক কোটি ৯ লাখ নগদ টাকার দেশীয় নোট জব্দ করা হয়।