রাজধানীর বংশালে রিকশাচালক আবদুল হামিদকে নির্যাতনের মামলায় সেই সুলতান আহমেদের জামিন আবেদন তৃতীয়বারের মতো নাকচ হয়ে গেছে।
রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন সুলতানের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
সুলতানের পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী মেহেদী হাসান বাদল।
এর আগে ২০ মে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম বাকি বিল্লাহ শুনানি শেষে তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
গত ১৯ মে বুধবার ভুক্তভোগী রিকশাচালক আবদুল হামিদ নিজেই সুলতানের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে বংশাল থানায় মামলা করেন। ২০ মে সুলতানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
জানা যায়, গত ৪ মে একজন সংবাদকর্মী বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একটি ভিডিও লিংক পাঠান।
সেই ভিডিওতে দেখা যায়, বংশালে এক ব্যক্তি এক রিকশাওয়ালাকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মারছেন।
নির্যাতনের একপর্যায়ে রিকশাচালক মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান।
ভিডিওটি নজরে আসার পর বংশাল থানার পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে।
ওই দিনই সুলতানকে জিডিমূলে আটক করে বংশাল থানার পুলিশ।
পরদিন ৫ মে তাকে আদালতে হাজির করা হলে সুলতান আহমেদের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।