বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কারাগারে টাকা পাঠানো যাবে বিকাশ নগদে

  •    
  • ২৩ মে, ২০২১ ১৯:৪১

‘প্রধানমন্ত্রী কারাগারকে যুগোপযোগী ও সংশোধনাগারে রূপান্তর করেছেন। তাদের খাবারের মেন্যুতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে, যাতে কারাগার থেকে বের হয়ে কাজ করতে পারে।’

কারাগারের ভেতরে খরচের জন্য বন্দিদেরকে ‘বিকাশ’ ও ‘নগদ’ এর মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে টাকা পাঠানো যাবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

তিনি জানান, বন্দিদের মধ্যে যেন করোনা ছড়াতে না পারে, সে জন্য স্বজনদের সঙ্গে কাউকে সাক্ষাৎ করতে দেয়া হচ্ছে না। তারা ১০ মিনিট ফোনে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন।

করোনার প্রাদুর্ভাবে কারাবন্দিদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিয়ে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। বলেন, এ কারণেই বন্দিদের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম।

রোববার কারা অধিদপ্তর আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন। অনুষ্ঠানে দেশের তিনটি কারাগারে আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কারাগারকে যুগোপযোগী ও সংশোধনাগারে রূপান্তর করেছেন। তাদের খাবারের মেন্যুতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে যাতে কারাগার থেকে বের হয়ে কাজ করতে পারে।’

কারাগারের পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেকটাই বদলেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আসামিরা ভালো পরিবেশে থাকছেন, করোনাকালীন সময়ে ভার্চুয়ালি আদালতে উপস্থিত হচ্ছেন।’

নতুন তিনটি আইসোলেশন সেন্টার

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে তিনটি আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন করেছেন সেগুলো কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কিশোরগঞ্জ এবং ফেনী কারাগারে স্থাপন করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘কোনো বন্দির মধ্যে যদি করোনার লক্ষণ দেখা যায় অথবা কেউ যদি করোনায় আক্রান্ত হয়, তবে তাকে এখানে রাখা হবে। তিনটি সেন্টারে মোট ১৩৯ জনকে রাখার ধারণক্ষমতা রয়েছে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এখানে চিকিৎসক ও নার্স দেয়া হয়েছে।’

কারা অধিদপ্তর ও ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেড ক্রসের (আইসিআরসি) যৌথ উদ্যোগে সেন্টারগুলো চালু করা হয়েছে।

নতুন তিনটি ছাড়াও ছয়টি আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে বন্দিদের জন্য। সেগুলো হচ্ছে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২, রাজশাহী ডিআইজি প্রিজন্সের বাংলো, দিনাজপুর জেলা কারাগারের অব্যবহৃত অংশ, মাদারীপুর জেলা কারাগার-২ এবং পিরোজপুর জেলা কারাগার-২।

কারাগারের কর্মকর্তারা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে এগুলো পরিচালনা করছেন।

অনুষ্ঠানে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টিন সেন্টার চালু করেছি। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসক নার্স নেয়া হয়। এ ছাড়া আমরা বন্দিদের জন্য নিয়মিত সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহ করে যাচ্ছি। এ জন্যে এ পর্যন্ত খুব বেশি কারাবন্দি করোনায় আক্রান্ত হয়নি।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোকাব্বির হোসেন বলেন, ‘করোনার প্রথম ঢেউয়ে কারাবন্দিদের স্বাস্থ্যবিধি মানানো এবং তাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষাসামগ্রী দেয়ার কারণে সংক্রমণ অনেক কম হয়েছে। আশা করছি এবার দ্বিতীয় ঢেউয়েও সবার প্রচেষ্টায় বন্দিদের আক্রান্তের সংখ্যা কম থাকবে।’

অনুষ্ঠানে কারা অধিদপ্তর, ঢাকা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর