বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোজিনার মামলা প্রত্যাহার চান আনিসুল

  •    
  • ২৩ মে, ২০২১ ১৪:২২

আনিসুল হক বলেন, ‘আদালতের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। ইতিপূর্বে আমাদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা হয়েছে, অনেকগুলো চলমান রয়েছে। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমরা কখনোই আদালতের ওপর আস্থা হারাইনি।’

সরকারি গোপন নথি চুরির অভিযোগে দাপ্তরিক গোপনীয়তা আইনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে জামিন দিয়েছে আদালত। শুধু জামিন নয়, এই মামলা নিষ্পত্তিভাবে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তার সহকর্মী ও লেখক আনিসুল হক।

ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম- সিএমএম আদালতের বিচারক বাকী বিল্লাহর ভার্চুয়াল আদালত রোববার জামিন আদেশ দেয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ দাবি জানান।

আনিসুল হক বলেন, ‘আদালতের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। ইতিপূর্বে আমাদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা হয়েছে, অনেকগুলো চলমান রয়েছে। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমরা কখনোই আদালতের ওপর আস্থা হারাইনি।’

গ্রেপ্তারের পর থেকেই সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন, রোজিনা ইসলামের সহকর্মীসহ দেশ-বিদেশে তার মুক্তির জন্য আন্দোলন হয়ে আসছে। সেসব আন্দোলন থেকে রোজিনা ইসলামের মুক্তির পাশাপাশি তার মামলা প্রত্যাহারের দাবিও করা হয়।

জামিন আদেশের পর প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক বলেন, মামলা প্রত্যাহারের দাবি থেকে সরে আসা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি অনেক আইনজীবীর মত শুনেছি। তারা প্রত্যেকে বলছেন, এই মামলাটার কোনো মেরিট নাই। যে মামলার মেরিট নাই, সরকার সেটা কেন ক্যারি করছে?

‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বা প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়া যায়। আমরা এবং প্রশাসন মুখোমুখি দাঁড়াব, সাংঘর্ষিক অবস্থান হবে, এটা সুস্থতার লক্ষণ না। এটার শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক সমাধান হচ্ছে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়া। আমার দাবি হচ্ছে, মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়া হোক।’

এ ঘটনায় একটা ক্ষত তৈরি হয়েছে, যা চিকিৎসক দিয়ে সারানো যাবে না জানিয়ে বিষয়টি প্রশমনে সরকারকে রাজনৈতিকভাবে উদ্যাগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আনিসুল হক বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক সরকার, গণতান্ত্রিক সরকার; জনগণ ও সংবাদকর্মীদের যেন মুখোমুখি করা না হয়। এটা সরকারের জন্য বুদ্ধিমত্তার কাজ হচ্ছে না। রোজিনাকে হেনস্তা করে, প্রিজন ভ্যানে তুলে সারা বিশ্বের কাছে আমাদের নিচু করা হয়েছে।

‘এটা তখনই উজ্জ্বল করা হবে যখন সরকার বলবে, আমরা রাজনৈতিক সরকার, আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। আইনের মাধ্যমে জামিন হয়েছে। আমরা রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে মামলা প্রত্যাহার করছি। এতে সরকারেরই জয় হবে, সংবাদমাধ্যমের জয় হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমার এক নম্বর দাবি, মামলাটি প্রত্যাহার করা হোক। দ্বিতীয়ত, রোজিনাকে আটকে রেখে যে হেনস্তা করা হয়েছে তার প্রতিকার করা হোক।’

রোজিনার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে, একজন সাংবাদিকের গোপনীয়তা নষ্ট করার অভিযোগও তোলেন আনিসুল হক। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

হেনস্তাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে আনিসুল হক বলেন, ‘মামলা করতে হলে আগে আমাদের রোজিনাকে কাছে পেতে হবে। তার সঙ্গে কথা বলতে হবে, এরপর তিনি তার আইনজীবীরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। এটা তো আবেগের বিষয় নয়। আইনের বিষয়, এগুলো পরামর্শ করেই করা হবে। দেশের নাগরিকরা ও সাংবাদিকরা যে ঐক্য ও সংহতি দেখিয়েছেন এটা অব্যাহত রাখতে হবে।’

শুধু রোজিনার ক্ষেত্রে নয়, মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিটি মানুষের অধিকার। প্রতিটি নাগরিককে এ বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানান আনিসুল হক।

অনলাইন, প্রিন্ট ও টেলিভিশন সাংবাদিকরা রোজিনার গ্রেপ্তার বিষয়ে যে সংহতি দেখিয়েছেন তা অভূতপূর্ব উল্লেখ করে আনিসুল হক সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

এ বিভাগের আরো খবর