বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমাদের বাঁচান, প্রধানমন্ত্রীকে হোটেল মালিকদের আকুতি

  •    
  • ২২ মে, ২০২১ ১৬:১৩

‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের বাঁচান’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি আট দফা দাবি জানান।সংবাদ সম্মেলনে থেকে নেতারা সরকারের প্রতি তাদের আকুতি জানান, ৫০ ভাগ আসন ফাঁকা রেখে হলেও তারা হোটেল-রেস্তোরাঁ চালু রাখতে চান।

হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতে প্রণোদনা, জামানতবিহীন ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, সার্বক্ষণিক খোলা রাখাসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে মালিক সমিতির নেতারা।

রাজধানীর পুরানা পল্টনে সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের বাঁচান’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি এসব দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে থেকে নেতারা সরকারের প্রতি তাদের আকুতি জানান, ৫০ ভাগ আসন ফাঁকা রেখে হলেও তারা হোটেল-রেস্তোরাঁ চালু রাখতে চান।

এভাবে চলতে থাকলে মালিক ও কর্মচারীদের পথে বসতে হবে বলে এর প্রতিকারে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ওসমান গনি, মহাসচিব ইমরান হাসান, সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা খন্দকার রুহুল আমিনসহ কার্যনির্বাহী কমিটি ও ঢাকা মহানগরীর উত্তর-দক্ষিণের ঊর্ধ্বতন নেতারা।

মালিকদের আট দফা দাবি

১. সার্বক্ষণিক হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা লাখার অনুমতি দেয়া।

২. হোটেল-রেস্তোরাঁ শ্রমিকদের প্রণোদনা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে শ্রমিকদের মোবাইলের মাধ্যমে নগদ অর্থ অথবা নির্দিষ্ট কার্ড প্রদানের মাধ্যমে প্রতিমাসে খাদ্য সহায়তা দেয়ার পদক্ষেপ নিতে হবে।

৩. হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসাকে চলমান রাখার জন্য রানিং ক্যাপিটাল হিসেবে এসএমই খাত থেকে বিনা সুদে অথবা স্বল্প সুদে জামানতবিহীন ও দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দিতে হবে।

৪. বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল সার চার্জ ছাড়াই পরিশোধের সুযোগ দেয়া।

৫. সারা দেশে ৯৮ ভাগ মালিক ভাড়া ভিত্তিতে হোটেল-রেস্তোরাঁ পরিচালনা করেন। এই ভাড়া পরিশোধে রেস্তোরাঁ মালিকরা বাড়ির মালিকদের সহনীয় আচরণ, দেরিতে ভাড়া গ্রহণ এবং ভাড়া মওকুফ করার বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা ও সহযোগিতা।

৬. হোটেল-রেস্তোরাঁ একটি সেবামূলক খাত হওয়ায় এ খাতের মালিক ও শ্রমিকদের করোনার যোদ্ধা ও ফ্রন্টলাইন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া। সেই সঙ্গে খাত সংশ্লিষ্টদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা টিকা নিশ্চিতে সরকারি নির্দেশনা দেয়া।

৭. করোনার মধ্যে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে এনবিআর অসহযোগিতা ও অশোভন আচরণ করেছে। এ ধরনের আচরণ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিরত থাকা।

৮. শুধু অনলাইন ডেলিভারির সুযোগ রেখে সারাদেশে হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার ঘোষণা দুরভিসন্ধিমূলক। বর্তমানে চালুকৃত টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান সংখ্যা হোটেল-রেস্তোরাঁ অনুপাতে মাত্র দুই থেকে তিন ভাগ। সংখ্যাগরিষ্ঠ হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার পেছনে দেশি-বিদেশি মহলের হাত রয়েছে- দাবি করে সরকারকে বিষয়টি অনুধাবন করে অবিলম্বে সারা দেশে হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলে দেয়া।

সংগঠনের মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, আমরা সব সময় অবহেলিত। এ কারণে আমাদের ওপর জুলুম নির্যাতন বেশি হয়। যখন তখন যেকোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হয়। যার বলি হচ্ছেন এ খাতের ৬০ হাজার হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক ও কর্মরত ৩০ লাখ শ্রমিক-কর্মচারী।

তিনি দাবি করেন, করোনায় এ খাতের ব্যবসায়ী ক্ষতি ৫০-৬০ হাজার কোটি টাকা।দেশে যে পরিমাণ হোটেল-রেস্তোরাঁ ছিল, করোনার নেতিবাচক প্রভাবে এর মধ্যে ৩০ শতাংশ বন্ধ হয়ে গেছে।

করোনার অজুহাতের হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা হলেও দেশের সবকিছুই এখন চলছে। তাহলে হোটেল-রেস্তোরাঁ কী দোষ করেছে, প্রশ্ন রাখেন তিনি।

নেতাদের প্রত্যাশা, শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রয়োজনে ৫০ ভাগ আসন ফাঁকা রেখে হলেও হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা রাকার ডাকে সরকার সাড়া দেবে।

এ বিভাগের আরো খবর