জাকারিয়া রাজধানীর বনশ্রীর একটি রেস্তোরাঁয় ওয়েটারের কাজ করতেন। কিন্তু ভোল পাল্টে তিনি হয়ে উঠলেন পুলিশের সহকারী কমিশনার (এএসপি), সাইবার ফরেনসিক এক্সপার্ট।
ক্রিমিনাল জাস্টিজ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটিতে। আর বর্তমানে কাজ করছিলেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি)।
স্কুলের গণ্ডি না পেরোলেও জাকারিয়া রেস্তোরাঁর ওয়েটার থেকে এএসপি হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ভোল পাল্টে। আর এর উদ্দেশ্যই ছিল প্রতারণা করা, মেয়েদের সঙ্গে মিথ্যা পরিচয়ে সম্পর্ক স্থাপন করা।
তবে শেষরক্ষা হয়নি জাকারিয়ার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত এক মেয়ের সঙ্গে হাতিরঝিলে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এটি কাল হয়। নিজের অজান্তেই সিআইডি সাইবার পুলিশের পাতা ফাঁদে পা রাখেন তিনি।
তার প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড এক মাসের বেশি সময় ধরে নজরদারির পর বুধবার রাতে বনশ্রীর একটি রেস্তোরাঁ থেকে জাকারিয়াকে আটক করে সিআইডি। বর্তমানে রিমান্ডে আছেন তিনি।
জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার কথা স্বীকারও করেছেন। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবেন বলে তদন্ত কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন।
সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ জানান, জাকারিয়ার বাড়ি পটুয়াখালীতে। বনশ্রীতে সামান্য বেতনে চাকরি করতেন। চট্টগ্রামের আবির নামে এক ছেলের কথায় জাকারিয়া ফেসবুকে নিজের পরিচয় পাল্টে ফেলেন। নিজেকে হাজির করেন এএসপি হিসেবে।
বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ বলেন, এ ধরনের সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করে যাচ্ছে সাইবার পুলিশ। জাকারিয়া নিজের প্রতারণার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। শনিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।