বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খিলগাঁওয়ে যৌতুক দাবিতে গৃহববধূকে হত্যার অভিযোগ

  •    
  • ২১ মে, ২০২১ ১৩:৩৬

বৃষ্টির চাচা মারুফ হোসেন জানান, বিয়ের সময় নুরুল চাকরি করলেও পরে ছেড়ে দেয়। এখন নুরুল বেকার। বিয়ের সময় বৃষ্টির বাবার কাছ থেকে সে এক লাখ টাকা নেয় ব্যবসা করার জন্য। পরে আরও দুই লাখ টাকার জন্য বৃষ্টিকে চাপ দিতে থাকে।

রাজধানীর খিলগাঁও বনশ্রীতে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের পর নাসরীন আক্তার বৃষ্টি নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

হত্যার অভিযোগে একটি মামলাও হয়েছে। মামলায় বৃষ্টির স্বামী নুরুল ইসলাম ও শাশুড়ি কমলা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পিরোজপুর সদর উপজেলার উত্তর ভাইজোড়া গ্রামের মশিউর রহমানের ২০ বছর বয়সী মেয়ে বৃষ্টি। দেড় বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেন নুরুল ইসলামকে। এরপর থেকে তারা খিলগাঁও মেরাদিয়া মধ্যপাড়া ২৪/২ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকতেন।

বৃষ্টির চাচা মারুফ হোসেন জানান, বিয়ের সময় নুরুল চাকরি করলেও পরে ছেড়ে দেযন। এখন নুরুল বেকার। বিয়ের সময় বৃষ্টির বাবার কাছ থেকে তিনি এক লাখ টাকা নেন ব্যবসা করার জন্য। পরে আরও দুই লাখ টাকার জন্য বৃষ্টিকে চাপ দিতে থাকেন।

তিনি বলেন, ‘টাকা দিতে না পারায় বৃষ্টিকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করছিল নুরুল। শেষ রোজার কয়েক দিন আগে বৃষ্টিকে খুব মারধরও করেছিল। বৃষ্টি এরপর বাড়ি চলে যায, তবে নুরুল ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টিকে ফিরিয়ে আনে।’

মারুফ হোসেন জানান, বনশ্রী জি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাসার কেয়ারটেকার ঈদের তিন-চার দিন আগে ছুটিতে গ্রামে গেলে ওই বাসার অস্থায়ী কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব নেন নুরুল। এরপর থেকে সেখানেই থাকতেন তিনি। বৃষ্টি মাঝেমধ্যে সেখানে তার জন্য খাবার নিয়ে যেতেন।

মারুফ জানান, বৃষ্টি সবশেষ বৃহস্পতিবার নুরুলের কাছে যান। এরপর সন্ধ্যায় নুরুল বৃষ্টির বাবাকে ফোন দিয়ে জানান বৃষ্টি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে আল রাজি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। পরে বৃষ্টির বাবার মাধ্যমে চাচা মারুফ খবর পেয়ে আল রাজি হাসপাতাল গিয়ে বৃষ্টিকে সেখানে পাননি। তবে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে জানান, বৃষ্টি মারা গেছেন; তার স্বামী মরদেহ বাসায় নিয়ে গেছেন।

বৃষ্টির চাচা মেরাদিয়ার বাসায় গিয়ে দরজা বন্ধ দেখতে পান। পরে দরজা নক করলে নুরুলের বোন জানান বৃষ্টি অসুস্থ, তার সাথে এখন দেখা করা যাবে না। পরে তিনি জোর করে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে বৃষ্টিকে কাঁথা মোড়ানো মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তার গলায় ও ডান হাতে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশকে খবর দেন।

পুলিশ গিয়ে বৃষ্টির মরদেহ উদ্ধার করে খিলগাঁও থানায় নিয়ে যায়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ শুক্রবার ভোরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর