রাজধানীর বংশালে রিকশাচালককে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় সেই সুলতানকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন গ্রহণ করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের বিচারক মো. বাকী বিল্লাহ গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনে অনুমোদন দেন।
বংশাল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, রিকশাচালক আব্দুল হামিদ বুধবার সুলতান আহমেদের বিরুদ্ধে বংশাল থানায় মারধর, চুরি ও ভয়ভীতির অভিযোগে মামলা করেন।
বুধবারই ওই মামলায় সুলতান আহমেদকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার এসআই আলী রেজা মামুন।
আদালত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন। শুনানি শেষে আদালত তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দেয়।
এর আগে গত ৪ মে রাজধানীর বংশালে রিকশাচালককে বেধড়ক মারধর করে অজ্ঞান করে দেয়ার ভিডিওচিত্র একজন সাংবাদিক পুলিশের ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠান।
সেই ভিডিওতে দেখা যায়, বংশালে এক ব্যক্তি এক রিকশাচালককে কিল, ঘুষি ও চড়-থাপ্পড় মারছেন।
নির্যাতনের একপর্যায়ে রিকশাচালক মাটিতে পড়ে যান এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
তখন আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে রিকশাচালককে উদ্ধার করেন।
ভিডিওটি দেখে পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকিরকে নির্দেশনা দেয় নিপীড়নকারী লোকটিকে খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য।
এরপর ওসির নেতৃত্বে একটি টিম অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে তাকে একটি সাধারণ ডায়েরি করে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনে।
এরপর থেকে সুলতান কারাগারেই আছেন। কয়েক দফায় তার জামিন আবেদন করলে তা নাকচ হয়ে যায়। বুধবার আদালত তাকে জামিন দেয়। তবে রিকশাচালক আব্দুল হামিদ মামলা করায় সুলতানের জামিন আটকে যায়।