রাজধানীর পল্লবীতে সন্তানের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি এম এ আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাবের একটি দল ভৈরবে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে বলে বাহিনীটির মিডিয়া সেল থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিকেল ৪টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে র্যাব।
আউয়াল লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান।
গত মঙ্গলবার রাতে আউয়ালকে ভৈরব থেকে তুলে নেয়া হয় বলে তার স্ত্রী পরিচয়ে এক নারী মোবাইল ফোনে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানান। তবে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পল্লবীর বুড়িরটেকের বাসিন্দা সাহিনুদ্দিনকে গত রোববার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তার সন্তানের সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন এ ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা বেগম পল্লবী থানায় ২০ জনের নামে মামলা করেন।
আউয়ালসহ এ মামলার এজাহারনামীয় পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর মধ্যে বুধবার পুলিশ যাত্রাবাড়ী থানার রায়েরবাগ থেকে মো. সুমন বেপারীকে এবং পল্লবী থানাধীন কালাপানি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আসামি মো. রকি তালুকদারকে।
এর আগে পল্লবী থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে দিপু ও মুরাদ নামে আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা বেগমের অভিযোগ, পল্লবীর সেকশন-১২ বুড়িরটেকের আলীনগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেলি প্রোপার্টিজ ডেভেলপার লিমিটেডের এমডি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি আউয়ালের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা সাহিনুদ্দিনকে হত্যা করেছে।
আলীনগর এলাকায় সাহিনুদ্দিনদের আনুমানিক ৫ কোটি টাকা মূল্যের ১০ একর জমি জবরদখলে বাধা দেয়ায় খুন হতে হয়।
বুধবার সকালে মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে স্থানান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে এমএ আউয়ালকে ভৈরব থেকে ডিবি পরিচয়ে আটকের অভিযোগও ওঠে।