দেশের বাইরে অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের মামলায় স্বর্ণ চোরাচালানকারী মনির হোসেন বা গোল্ডেন মনিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
এর আগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এবং মামলার তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানায় করা এ অর্থ পাচার মামলায় মনিরকে ১০ দিনের হেফাজতে নিতে আবেদন করেন।
বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের বিচারক সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর ভার্চুয়াল আদালত শুনানি শেষে তার তিন দিনের রিমান্ড অনুমোদন করে।
মনিরের পক্ষে আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ নেন।
এর আগে ১৬ মে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সেই আবেদনের ওপর বুধবার ভার্চুয়াল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
১১ মে মঙ্গলবার বিকেলে সিআইডির পরিদর্শক মো. ইব্রাহিম হোসেন গোল্ডেন মনিরের স্ত্রী রওশন আক্তার ও ছেলে রাফি হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মামলা করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- গোল্ডেন মনিরের বোন নাসিমা আক্তার, নাসিমার স্বামী হাসান আলী খান, মনিরের আরেক ভগ্নীপতি নাহিদ হোসেন, গোল্ডেন মনিরের সহযোগী আবদুল হামিদ, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, রিয়াজের ভাই হায়দার আলী এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম শফিক।
গত বছর ২০ নভেম্বর গভীর রাতে রাজধানীর মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেপ্তার করেন র্যাব সদস্যরা।
এরপর তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও অর্থ পাচারের দুটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে ওই দুই মামলায় তিন দফায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের সময় গোল্ডেন মনিরের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি, বিদেশি মদ ও প্রায় ৯ লাখ টাকার বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।
তার বাসা থেকে আট কেজি স্বর্ণ ও নগদ এক কোটি ৯ লাখ টাকাও জব্দ করা হয়।