রাজধানীর বংশালে রিকশাচালককে নির্যাতনের আলোচিত ঘটনায় সেই সুলতানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী আবদুল হামিদ।
বুধবার রিকশাচালক আবদুল হামিদ বংশাল থানায় মামলাটি করেন।
এরপর এজাহারের অনুলিপি আদালতে পাঠানো হলে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারী আগামী ২৯ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলী রেজা মামুন আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করেন।
এরপর ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার তারিখ দেন।
৪ মে বংশালে রিকশাচালককে বেধড়ক মারপিট করে অজ্ঞান করে দেয়ার ভিডিওচিত্র একজন সাংবাদিক পুলিশের ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠান।
সেই ভিডিওতে দেখা যায়, বংশালে এক ব্যক্তি ওই রিকশাচালককে কিল-ঘুষি ও চড়-থাপ্পড় মারছেন। নির্যাতনের একপর্যায়ে রিকশাওয়ালা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ও মূর্ছা যান। তখন আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে রিকশাচালককে উদ্ধার করেন।
ভিডিওটি দেখে পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকিরকে নির্দেশ দেয় নিপীড়নকারী লোকটিকে খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য ।
এরপর ওসির নেতৃত্বে একটি টিম অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে। সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সুলতান আহমেদ নামের ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি বংশাল এলাকার একজন বাড়িওয়ালা।
পরদিন ৫ মে আদালতে তোলা হলে সুলতান আহমেদের পক্ষে করা জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
তার জামিন শুনানির জন্য ২৩ মে নির্ধারণ করা হয়েছে।