১০ হাজার টাকা জরিমানা থেকে মুক্তি পেতে আদালতের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন লকডাউন চ্যালেঞ্জ করে রিটকারি আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ।
বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আদালত এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন বিচারক।
সকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ আদালতে বলেন, ‘মাই লর্ড, আপনার আদালতের জুম আইডি পরিবর্তন হওয়ায় আমি ওই দিন আদালতে শুনানি অংশ নিতে পারিনি। এজন্য ক্ষমা চাচ্ছি। আমাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা মাফ করে দিন। আমি ক্ষমা চাচ্ছি।’
তখন আদালত বলে, ‘আপনি লিখিতভাবে আপনার কথাগুলো আদালতকে জানান। আমরা বিষয়টি দেখব।’
পরে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালতের কাছে ক্ষমা চাওয়া এটা একটা ভদ্রতা। আমি সেইভাবেই আদালতের কাছে বেগ অ্যাপলজি (ক্ষমা প্রার্থনা) চেয়েছি। আদালত লিখিত দরখাস্ত দিতে বলেছেন। কালকে আদেশের জন্য রেখেছেন আদালত।’
গত ৪ মে লকডাউন চ্যালঞ্জ করে রিট দায়ের করে বার বার বলা সত্ত্বেও শুনানিতে অংশ না নেয়ায় অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে হাইকোর্ট। ওই দিন তার রিটটিও খারিজ করে দেয় আদালত।
গত ২৫ এপ্রিল জরুরি অবস্থা জারি করা ব্যতীত লকডাউন দেয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে এ রিট করা হয়। আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটিকে বিবাদী করা হয়।