বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোজিনার নিঃশর্ত মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন

  •    
  • ১৯ মে, ২০২১ ১৩:৪৪

বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাষ্ট্রীয় গোপন নথি সে চুরি করেছে। কী এমন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূ্র্ণ ফাইল সেটা? বলা হচ্ছে, রাশিয়ার সঙ্গে ভ্যাকসিনের জন্য একটা অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে, সেই অ্যাগ্রিমেন্টটি হয়েছে গত ২২ এপ্রিল। কিন্তু ঘটনাটা ঘটেছে ১৭ মে। এত গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সচিবের পিএসের টেবিলে পড়ে আছে? এটা আমরা কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারি না। এটা রোজিনাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র। রোজিনা ইসলাম নির্দোষ বলে মনে করি।’

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও হেনস্তাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বুধবার বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এই ঘোষণা দেন সাংবাদিকরা।

একই সঙ্গে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা; বরিশাল ডিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন।

মানববন্ধনে বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস বলেন, ‘রোজিনা ইসলামকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তাকে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে; এর বিরুদ্ধে আমরা আজ মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। আমরা তার মুক্তি চাই, তার সঙ্গে যারা অন্যায় করেছেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

তিনি বলেন, ‘রোজিনা ইসলামকে ডেকে নিয়ে কাগজ ধরিয়ে নাটকের মতো করে অভিযোগ দাঁড় করানো হয়েছে। আমার দুটি প্রশ্ন, একটি অভিযোগ দিতে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা করেছে। ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা করার কারণটা কী? কী এমন অপরাধ করেছে সে?

‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাষ্ট্রীয় গোপন নথি সে চুরি করেছে। কী এমন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূ্র্ণ ফাইল সেটা? বলা হচ্ছে, রাশিয়ার সঙ্গে ভ্যাকসিনের জন্য একটা অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে, সেই অ্যাগ্রিমেন্টটি হয়েছে গত ২২ এপ্রিল। কিন্তু ঘটনাটা ঘটেছে ১৭ মে। এত গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সচিবের পিএসের টেবিলে পড়ে আছে? এটা আমরা কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারি না। এটা রোজিনাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র। রোজিনা ইসলাম নির্দোষ বলে মনে করি।’

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন। ছবি: সাইফুল ইসলাম

রোজিনার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে জানান।

বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বলেন, ‘রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই ধরনের কর্মসূচি চলতে থাকবে।

‘আমরা চাই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একটি সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ তৈরি করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের চক্রান্তে আমাদের কোনো সাংবাদিক না পড়েন। আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।’

মানববন্ধনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, ‘বিএসআরএফের আন্দোলনের সঙ্গে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন একাত্মতা প্রকাশ করছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আগামীকাল সকাল ১০টায় আবারও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করব।’

তপু বলেন, ‘দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই- সরকারি অর্থায়নে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এখনই বন্ধ করতে হবে। এই অর্থ জনগণ দেয়, সেই অর্থ লুটপাটকারীরা ব্যবহার করবেন, তাদের ভাবমূর্তি উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করবেন, সেটা আমরা কোনোভাবেই মানব না। ঘটনা তদন্তে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। এটা আমলাদের কর্তৃত্বে হতে পারে না।’

মানববন্ধনে বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল ও মহাসচিব আবদুল মজিদ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার ছাড়াও অন্য সাংবাদিক নেতারা বক্তব্য দেন।

বক্তারা সাংবাদিক রোজিনার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে তাকে আটকে রেখে হেনস্তা করার নিন্দা জানান। রোজিনার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন সাংবাদিক নেতারা।

১৭ মে বেলা ৩টার দিকে রোজিনা ইসলাম সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। স্বাস্থ্যসচিবের একান্ত সচিবের কক্ষে ফাইল থেকে নথি সরানোর অভিযোগে তাকে সেখানে পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এরপর রাতে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মামলা করা হয়।

রাত ১১টার দিকে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। আদালত রোজিনা ইসলামের রিমান্ড নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। একই সঙ্গে তার জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করে আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর