প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস আইনে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১৫ জুলাই জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের বিচারক মো. জসিম উদ্দিন মামলার এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে এ তারিখ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সরদার আরিফুর রহমান ।
অপরদিকে তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি রিমান্ড আবেদন বাতিলসহ জামিনের আবেদন করেন।
এ সময় আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকারসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
জামিন আবেদন আংশিক শুনানি শেষে বিচারক আগামী ২০ মে বৃহস্পতিবার জামিন আবেদন শুনানির জন্য তারিখ রাখেন।
অপরদিকে তার রিমান্ড আবেদন শুনানি শেষে তা নাকচ করে দেয় আদালত।
এরপর রোজিনা ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক মো. জসিম উদ্দিন।
রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ উসমানী।
সচিবালয়ে দীর্ঘক্ষণ বেআইনিভাবে আটকে রাখার পর সোমবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানায় আনা হয়।
তার বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোনে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা এবং আরও কিছু নথি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ এনেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।