রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুজন।
ডিবি বলছে, নিহত দুজন ছিনতাইকারী। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ছিনতাই, মাদক ও হত্যা মামলা রয়েছে।
সোমবার গভীর রাতে ৩০০ ফিট ফ্লাইওভারের মুখে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান জানান, সোমবার দিবাগত রাতে বন্দুকযুদ্ধে দুজন মারা গেছেন। তারা হলেন- রাসেল ও এনামুল। তাদের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
জীবিত গ্রেপ্তার দুজন হলেন- সিএনজিচালক নয়ন ও ইয়ামিন। তাদের কাছ থেকে ইয়াবা, আগ্নেয়াস্ত্র, একটি পুরোনো কিন্তু ধারালো ছুরি, মোবাইল, গামছা ও মলম উদ্ধার করা হয়।
মশিউর রহমান জানান, তারা সিএনজি অটোরিকশা, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারে যাত্রী তুলে তাদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নিতেন। কেউ টাকা দিতে না চাইলে তাদের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সবকিছু কেড়ে নিয়ে নির্জন কোনো স্থানে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যেতেন।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তাদের একটি টিম কাওলা থেকে পূর্বাচলগামী ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখে এবং আরেকটি টিম ফ্লাইওভারের মাঝে অবস্থান নিয়ে তল্লাশি করছিল।
রাত সোয়া ২টার দিকে কাওলা থেকে বিশ্ব রোডের দিকে একটা সিএনজি অটোরিকশা কয়েকজন লোক নিয়ে চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় তাদের থামতে বলা হয়। অটোরিকশাটি না থেমে ৩০০ ফুট ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে পূর্বাচলের দিকে পালানোর চেষ্টা করে।
এ সময় গোয়েন্দা পুলিশের দ্বিতীয় টিমটিকে ওয়ারলেসে সতর্ক করা হয়। এবং তারা সিএনজিটি আটকানোর জন্য ফ্লাইওভারের মাঝে তাদের একটি মাইক্রেবাস রেখে ব্যারিকেড দেয়। এদিকে ফ্লাইওভারের মুখে থাকা প্রথম টিমটি সিএনজির পিছু নিয়ে ধাওয়া করে। একটু পরেই সামনে মাইক্রোবাসের ব্যারিকেড দেখে দুই ছিনতাইকারী সিএনজি থেকে নেমে মাইক্রোবাসের দিকে গুলি ছুড়তে থাকেন এবং পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালান।
একটা পর্যায়ে গুলি থামলে সিএনজির ভেতরে দুজনকে পাওয়া যায়। এবং সিএনজির অদূরে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে পায়। তাদের দুজনকে খিলক্ষেত থানা পুলিশের মাধ্যমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।