ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে দুই বান্ধবীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় রিমান্ড ফেরত চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
কারাগারে যাওয়া চারজন হলেন—আশিক, অপু, রিফাত ও ফাহিম।
রোববার দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
এ সময় মামলা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাজাদী তাহমিদা তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার তিন দিনের রিমান্ড শেষে ওই চারজনকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম (সিজেএম) আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর ধর্ষণের ঘটনায় আরেক মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রত্যেক আসামিকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হোসেন প্রত্যেকের দুই দিন করে জিজ্ঞাসাবাদ অনুমোদন দেন।
অপরদিকে রিফাত ও অপু দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিদা তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
গত ৯ মে তিন দিনের এবং পৃথক মামলায় গত ১২ মে দুই দিনের রিমান্ড অনুমোদন করেছিল আদালত।
দুই দফা রিমান্ড শেষে রোববার তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ভুক্তভোগী দুই বান্ধবীর মধ্যে একজনের বয়স ১৮ বছর ও অন্যজনের ১৭।
৭ মে সন্ধ্যার পর তারা কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাহপুর এলাকার মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে যায়। বিষয়টি তাদের একজনের ছেলেবন্ধু আশিক জানতে পারেন।
পরে আশিক আবদুল্লাহপুর এলাকায় গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করে দুজনকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে রাজাবাড়ি এলাকার নির্জনস্থানের একটি ছাপড়ায় নিয়ে যান।
সেখানে আসিফের আরও আট বন্ধু ছিলেন। একপর্যায়ে আসিফসহ ৯জন ওই দুজনকে ধর্ষণ করেন।
তাদের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে ওই দুই বান্ধবী রাত ১০টার দিকে বাসায় গিয়ে ঘটনাটি পরিবারকে জানায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী একজনের ছেলেবন্ধুসহ ৯জনের নাম উল্লেখ করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় দুটি ধর্ষণ মামলা করা হয়। এদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।