বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনাতেও ঢাকাবাসীর ঈদ শোভাযাত্রা

  •    
  • ১৫ মে, ২০২১ ২০:৫৩

‘বৃটিশ শাসন শুরুর আগে থেকেই আমাদের এই আনন্দ শোভাযাত্রা হতো। সকল ধর্মের মানুষ এই আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। কিন্তু ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের সময় মিছিল বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর আমরা ১৯৯০ সাল থেকে আবার শুরু করেছি। প্রতিবছরই হাজারও মানুষের অংশগ্রহণে এই শোভাযাত্রা হয়। কিন্তু এ বছর আমরা করোনাভাইরাসের কারণে সীমিত পরিসরে করেছি।’

‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে; এলো খুশির ঈদ; তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে; শোন আসমানী তাগিদ।’

হারমনি, তবলা নিয়ে গানটি পরিবেশন করছেন কাওয়ালি শিল্পীরা। হাঁটছেন আর গাইছেন।

তাদের ঠিক সামনে সামনে বড় ঘুড়ি, প্রজাপতি, ফুল নিয়ে হাঁটছে একদল শিশু-কিশোর। তাদের সামনে একটি ব্যানার ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মুরব্বিরা। ব্যানারে লেখা রয়েছে ঈদ র‌্যালি।

ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রতিবছরের মতো করোনার বছরেও শোভাযাত্রার আয়োজন করে ঢাকাবাসী নামে পুরান ঢাকার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

ঈদুল ফিতরের পরের দিন বিকেলে হাজারীবাগের ৬ নম্বর মনেশ্বর প্রথম লেন থেকে মিছিল শুরু। কয়েকটি সড়ক ঘুরে শেষ হয় হাজারীবাগ পার্কের সামনে।

করোনা সংক্রমণজনিত কারণে এবার মিছিলে মানুষের অংশগ্রহণ কম।

মিছিলটি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেন, ‘এটি ঐতিহ্যবাহী। আগে অনেক বড় আকারে হতো। আমাদের বিভিন্ন সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। ঢাকাবাসী সংগঠনটি এই সংস্কৃতি ধরে রেখেছে। আমরা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এ সংস্কৃতি ধরে রাখতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করি এবং নিজেরাও আয়োজন করে থাকি।’

ঢাকাবাসী সংগঠনের সভাপতি শুকুর সালেক বলেন, ‘বৃটিশ শাসন শুরুর আগে থেকেই আমাদের এই আনন্দ শোভাযাত্রা হতো। সকল ধর্মের মানুষ এই আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। কিন্তু ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের সময় মিছিল বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর আমরা ১৯৯০ সাল থেকে আবার শুরু করেছি। প্রতিবছরই হাজারও মানুষের অংশগ্রহণে এই শোভাযাত্রা হয়। কিন্তু এ বছর আমরা করোনাভাইরাসের কারণে সীমিত পরিসরে করেছি।’

প্রতিবছর একটি প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পুরান ঢাকার মানুষের মাঝে উপস্থাপন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ‘ভেজাল-মুক্ত খাবার খান, সুস্থ থাকুন।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। আরও ছিলেন ঢাকাবাসীর মহাসচিব শেখ খোদা বক্স, আজীবন সদস্য ওবায়দুল করীম বাপ্পি।

এ বিভাগের আরো খবর