বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরির পদত্যাগ

  •    
  • ১৬ জুলাই, ২০২১ ০৯:০৪

হারিরির পদত্যাগের পর তার সমর্থক ও দলীয় নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। রাজধানী বৈরুতে রাস্তা অবরোধ করে টায়ার আর ময়লার ভাগাড়ে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। কয়েকটি জায়গায় দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষও হয়।

আট মাসেও সরকার গঠন করতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে পদত্যাগ করেছেন লেবাননের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাবদা প্যালেসে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত এক বৈঠকের পর পদত্যাগ করেন হারিরি।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সরকার গঠন প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি আমি। প্রেসিডেন্ট আউন কিছু সংশোধনী চেয়েছেন, যেগুলো তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। তিনি মনে করেন যে আমরা কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারব না…আল্লাহ এ দেশকে রক্ষা করুন।’

অন্যদিকে বৈঠকের আগেই হারিরি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় ও সচিবালয়ে পরিবর্তনবিষয়ক সংশোধনী চান না হারিরি। তার ঘনিষ্ঠদের রাখতে চান তিনি।’

এর প্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হারিরি জানান, অভিজ্ঞতা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের সক্ষমতা বিবেচনায় প্রার্থী বাছাই করেছিলেন তিনি। আউন এটি করেননি।

হারিরি বলেন, ‘দুই বছর আগে আমি পদত্যাগ করেছিলাম। কারণ আমি অভিজ্ঞ সরকার গঠন করতে চেয়েছিলাম। প্রেসিডেন্ট আউনের পছন্দে সরকার গঠন করলে দেশ বাঁচবে না।’

লেবাননের সশস্ত্র রাজনৈতিক সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে প্রেসিডেন্টের সখ্য আছে বলেও অভিযোগ করেন হারিরি।

তিনি বলেন, ‘হিজবুল্লাহ প্রেসিডেন্টকে আর প্রেসিডেন্ট হিজবুল্লাহকে সুরক্ষা দেয়। এটা এই দেশের সমীকরণ। যারা এটা দেখে না, তারা অন্ধ।’

এর আগে বুধবার ২৪ সদস্যের মন্ত্রিসভার প্রস্তাব দেন হারিরি। বিপরীতে প্রেসিডেন্ট আউন প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আটজনের নাম প্রস্তাব করেন।

এদিকে হারিরির পদত্যাগের পর তার সমর্থক ও দলীয় নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। রাজধানী বৈরুতে রাস্তা অবরোধ করে টায়ার আর ময়লার ভাগাড়ে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। কয়েকটি জায়গায় দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষও হয়।

রাজধানী সংলগ্ন বেশ কয়েকটি মহাসড়ক ও অন্যান্য শহরেও অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছে বিক্ষোভকারীরা।

মাসব্যাপী গণআন্দোলনের মুখে ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রথম পদত্যাগ করেন হারিরি। এরপর ধস নামে লেবাননের মুদ্রাবাজারে। ইউএস ডলারের বিপরীতে সর্বকালের সর্বনিম্ন দর দেখছে লেবানিজ পাউন্ড। ৯০ শতাংশ দর হারিয়েছে লিরা।

এতে সঞ্চয় বিলুপ্ত হয়েছে গেছে কয়েক লাখ পরিবারের। দারিদ্র্যসীমায় প্রবেশ করেছে মোট জনগোষ্ঠীর কমপক্ষে অর্ধেক। খাদ্যপণ্যে মুদ্রাস্ফীতি ৪০০ শতাংশের বেশি।

যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও সৌদি আরবের অব্যাহত কূটনৈতিক চাপ উপেক্ষা করে গত বছরের অক্টোবরে হারিরি ফের প্রধানমন্ত্রী হলে নতুন করে রাজনৈতিক অচলাবস্থা সৃষ্টি হয় দেশটিতে।

নতুন সরকারকে ক্ষমতা গ্রহণে বাধা দেয়া লেবানিজ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও।

এ বিভাগের আরো খবর