চীনের দুই প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাগ্রহীতারাও সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে এ জন্য তাদের বুস্টার শট নেয়া থাকতে হবে।
রিয়াদভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়, বুস্টার শটটি নিতে হবে সৌদি আরবে অনুমোদিত টিকাগুলোর যেকোনো একটি থেকে।
সৌদি আরবের ই-ভিসা পোর্টালে বলা হয়, ‘সিনোফার্ম বা সিনোভ্যাকের করোনা প্রতিরোধী টিকার দুই ডোজ নেয়া অতিথিদেরও স্বাগত জানাবে রিয়াদ। তবে তারা সৌদি আরবে অনুমোদিত চারটি টিকার যেকোনো একটি থেকে অতিরিক্ত আরেক ডোজ বা তৃতীয় ডোজ নিলে এ দেশে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।’
সৌদি আরবে যে চারটি প্রতিষ্ঠানের টিকা অনুমোদন পেয়েছে, সেগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসন আর যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
করোনা প্রতিরোধী টিকা নেয়া পর্যটকদের জন্য ১ আগস্ট থেকে সীমান্ত খুলে দেয় সৌদি আরব। টিকা নেয়া থাকলে সৌদিতে এখন থেকে ভ্রমণ হবে কোয়ারেন্টিনবিহীন।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশি পর্যটকরা নিজ দেশে প্রশাসনের অনুমোদিত টিকা সনদ দেখিয়ে সৌদিতে ঢুকতে পারবেন। একই সঙ্গে দেশ ছাড়ার আগে শেষ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ ফলও দেখাতে হবে তাদের।
রিয়াদের নতুন ইলেকট্রনিক পোর্টালে নিবন্ধনের মাধ্যমে ডোজসংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে পর্যটকদের। ‘তাওয়াক্কালনা’ অ্যাপেও এসব তথ্যের রেকর্ড রাখা হবে। যেকোনো জায়গা দর্শন বা ভ্রমণের আগে অ্যাপটিতে নিজেদের তথ্য দেখিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন তারা।
ট্যুরিস্ট ই-ভিসা পাওয়ার জন্য ভিজিটসৌদি ডটকম পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চীন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ওশানিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ ৪৯টি দেশের নাগরিকরা।
এ তালিকায় নেই বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশ।
রিয়াদ জানিয়েছে, আগে ইস্যু করা ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে আসা পর্যটকদের সৌদি বিমানবন্দরে পৌঁছে অতিরিক্ত ১০ ডলার জমা দিতে হবে। করোনাসংশ্লিষ্ট চিকিৎসা খরচ বহনে বিমা হিসেবে নেয়া হবে এ অর্থ।
দেড় বছরের বেশি সময়ে মহামারিতে সৌদি আরবে আট হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস। ছোঁয়াচে রোগটি শনাক্ত হয়েছে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার মানুষের দেহে।
দেশটির ৫৮৭টি টিকাকেন্দ্র থেকে এ পর্যন্ত প্রায় তিন কোটি ডোজ দেয়া হয়েছে।
বিদেশি পর্যটকদের জন্য ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম নিজেদের দরজা খুলে দেয় সৌদি আরব। এরপর প্রথম ছয় মাসে দেশটি প্রায় চার লাখ মানুষকে ভিসা দেয়।
এরপরই মহামারির কারণে ভ্রমণ নিষিদ্ধের পাশাপাশি সব সীমান্ত আর বন্দর বন্ধ করে দেয় রিয়াদ।