বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমনের ভরা মৌসুমে সারসংকট

  •    
  • ২০ আগস্ট, ২০২১ ১৫:২৮

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আজগর আলী বলেন, ‘জেলায় সারের কোনো সংকট নেই। কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যেন সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারেন সে জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছেন।’

ঝিনাইদহে আমনের ভরা মৌসুমে দেখা দিয়েছে রাসায়নিক সারের সংকট। এতে ব্যাহত হচ্ছে ধানের আবাদ। উপায় না পেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ইউরিয়া, টিএসপিসহ অন্যান্য সার। যে কারণে বাড়তে পারে ধানের উৎপাদন খরচ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, এ বছর জেলার ছয় উপজেলায় ১ লাখ ৪ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরই মধ্যে ৯৮ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ শেষ হয়েছে।

চলতি মৌসুমের শেষ পর্যন্ত জেলায় ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএমপি, এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে ৪৮ হাজার মেট্রিক টন।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জমি প্রস্তুত ও ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। কেউ আবার জমিতে ছিটাচ্ছেন রাসায়নিক সার। আমনের ভালো ফলন পেতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন তারা।

তবে কৃষকদের অভিযোগ, ভরা মৌসুমে জেলায় দেখা দিয়েছে রাসায়নিক সারের সংকট। ডিলারদের কাছে চাহিদা অনুযায়ী সার না পেয়ে হাট-বাজারের দোকান থেকে চড়া দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এতে আমনের আবাদ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

সদর উপজেলার ভুটিয়ারগাতি গ্রামের কৃষক শাহীন মিয়া বলেন, ‘আমি ৩ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগাইছি। এখন ধানে সার দেওয়া দরকার। কিন্তু দোকানে গেলি সার পাওয়া যাচ্চে না। যাও পাওয়া যাচ্চে ১০ কেজি জাগায় ৫ কেজি পাচ্চি। এতে কি ধানের চাষ করা যায়।’

একই এলাকার কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন দোকানে ঘুরে সার পাওয়া যাচ্ছে না। আবার যদি কেজিতি ৪ থেকে ৫ টাকা বেশি দিই তাহলি সার ঠিকই পাওয়া যাচ্ছে। ধান আবাদের এই সময় যদি সার না পায় তাহলে তো ধানের আবাদ ভালো হবি না। বেশি দামে সার কিনলে তো খরচও বেড়ে যাবি।’

শহরের পাগলা কানাই এলাকার সার ব্যবসায়ী হোসেন আলী বলেন, ‘আমার প্রতিদিন ১০ বস্তা সারের চাহিদা থাকলেও আমি পাচ্ছি ৪ থেকে ৫ বস্তা। এই দিয়েই চালাচ্ছি। ডিলারদের কাছে গেলে তারা বলছেন সারের বরাদ্দ কম। কীভাবে সার দিব।’

তবে সারের কোনো সংকট নেই বলে দাবি করেছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আজগর আলী বলেন, ‘জেলায় সারের কোনো সংকট নেই। বাফার গোডাউনে সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যেন সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারেন সে জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর