‘যত চড়া গরম, তত তরমুজের ফলন’ ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছেন গোপালগঞ্জের কৃষক সুশান্ত বৈরাগী।
বর্ষার শুরুতে তরমুজের চাষ করেছেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার পোলশাইর গ্রামের কৃষক সুশান্ত। ফলনও হয়েছে বেশ।
গোপালগঞ্জে অসময়ে তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। জাপানের সাকাতা কোম্পানির কারিশমা জাতের কালো তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন অনেক কৃষক। ঘেরে মাছ আর পাড়ে তরমুজ চাষ বেশি লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে এ জাতের তরমুজের আবাদ।
মাত্র ১৫ হাজার টাকা খরচ করে মাছের ঘেরপাড়ে ৬৪ শতক জমিতে সুশান্ত চাষ করেন তরমুজের। ঘেরপাড়ে লাগানো গাছে ফল ধরেছে সারি সারি।
চাষের দুই মাস পরই বিক্রি শুরু তরমুজের। সুশান্তের আশা, অন্তত ৮০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন তিনি।
কৃষক সুশান্ত বৈরাগী জানান, তার এ সাফল্য দেখে অন্যরাও ঝুঁকছেন অসময়ের তরমুজ চাষে। কারণ বীজ বপনের ৪৫ দিনে ফলন ধরে; ৬৫ দিনের মাথায় করা যায় বাজারজাত।
এখন তরমুজের মৌসুম না হওয়ায় দাম পাচ্ছেন ভালো। এ জাতের তরমুজ মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় পাইকাররা ক্ষেত থেকেই প্রতি কেজি তরমুজ ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
সুশান্ত আরও জানান, বাজারে প্রথম দিকে এসব তরমুজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অসময়ের হলেও তরমুজ বেশ মিষ্টি। একবার কেউ কিনে নিলে আবারও তা কিনতে বাজারে যাচ্ছেন।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, ‘তরমুজের মৌসুমে প্রায় প্রতিবছরই অতিবৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়েন এ অঞ্চলের চাষিরা। তাই ভালো দামের আশায় অসময়ে তরমুজ চাষ করছেন অনেকেই।
‘ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার না করায় বাজারে এই তরমুজের চাহিদা অনেক।’
জেলার প্রায় ৫০ একর জমিতে বর্ষাকালীন তরমুজের চাষ করা হয়েছে বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।