বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চালের গোপন মজুত খুঁজবে গোয়েন্দা সংস্থা: খাদ্যমন্ত্রী

  •    
  • ১৬ আগস্ট, ২০২১ ১৮:৪০

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ হাজার চালকল মালিকদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন, যাদের অধিক অর্থ আছে, তারা মিলে চাল মজুতের চেষ্টা করেন। মিলে মজুত না করে গোপন কোনো জায়গায় মজুত করে কি না, সেটিও আমরা মনিটরিং করার চেষ্টা করছি, গোয়েন্দা সংস্থাকে চিঠি দিয়েছি। স্থানীয় প্রশাসনও মজুত ঠেকাতে তদারকি করছে।

বর্তমানে বাজার দরের চেয়ে চালের দাম আরও কম থাকা উচিত বলে মত দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। দাম না কমে উল্টো কেন বাড়ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

মিলাররা (চালকল মালিকরা) অবৈধভাবে চাল মজুত করছেন কি না তা খতিয়ে দেখতে গোয়েন্দা সংস্থাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, যোগ করেন মন্ত্রী।

সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ হাজার মিলারের মধ্যে কেউ কেউ আছেন, যাদের অধিক অর্থ আছে, তারা মিলে চাল মজুতের চেষ্টা করেন। মিলে মজুত না করে গোপন কোনো জায়গায় মজুত করে কি না, সেটিও আমরা মনিটরিং করার চেষ্টা করছি, গোয়েন্দা সংস্থাকে চিঠি দিয়েছি। স্থানীয় প্রশাসনও মজুত ঠেকাতে তদারকি করছে।

চালের পর্যাপ্ত মজুত আসছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এবার উৎপাদন গতবারের চেয়ে বেড়েছে। তাই এই সময়ে চালের দাম আরও কম থাকার কথা। কেন বাড়ছে আমরা তা খতিয়ে দেখছি। এখন ১৪ লাখ মেট্রিকটন চাল মজুত আছে। সারা দেশে বিশেষ ওএমএস দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ধানের দাম অনেক কমে যাওয়ায় কৃষকদের বাঁচাতে চাল আমদানিতে ট্যাক্স সাড়ে ৬২ শতাংশ

করা হয়। প্রয়োজন হলে তা কমিয়ে আনা হয়।

‘এবার দাম নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন মজুতের তদারকি করছে। এরপরেও দাম যাতে বাড়াতে না পারে, সেজন্য বেসরকারিভাবে আমদানির জন্য প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। এনবিআর এসআরও জারি করেছে। আমদানি শুল্ক কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।'

‘আমদানিকারকদের ২৫ আগস্টের মধ্যে আবেদন করতে বলেছি, তাদের আবেদন দেখে সক্ষমতা অনুযায়ী আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। আমদানির চাল কিছুটা এসে ঢুকলেও তখন এর প্রভাব বাজারে পড়বে। যারা ধান বা চাল মজুত করে রেখেছে, তারা সেগুলো ছেড়ে দেবে।’

দাম বাড়ার সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, চাল আনতে বিধিনিষেধের মধ্যে ট্রাকের ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় চালের দামে বেড়েছে। এছাড়া, অনেক বড়-বড় কোম্পানি বাজার থেকে চাল তুলে নিয়ে প্যাকেটজাত করছে। এতে সরু চালের ওপর প্রভাব পড়ছে।

বাজারে সরবরাহ বাড়াতে মিল পর্যায়ে মজুত ক্ষমতা কমানো হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মিলাররা আগে পক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতার পাঁচগুণ মজুত করতে পারত। তা কমিয়ে তিনগুণ করে দেওয়া হয়েছে। এই তিনগুণের এক অংশ বাজারে যাবে, এক অংশ মিলে থাকবে, আরেক অংশ মজুত হিসেবে থাকবে।

তবু চালের মজুত হচ্ছে আশঙ্কা প্রকাশ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এক পাক্ষিকের মধ্যে হিউজ স্টক করার সুযোগ নেই। তবে আমরা লক্ষ্য করছি ব্যবসায়ীরাও কিন্তু এবার অনেক স্টক করছেন, ফরিয়ারা তো রয়েছেনই। করোনার সময় এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেন। গতবার বোরো মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার কারণে আবাদ কম হয়, আমাদের মজুতও কমে যায়। ফলে চাল আমদানি করে মজুত ঠিক রাখতে হয়। আমন ধানও চাহিদামত মজুত করা যায়নি।’

এ বিভাগের আরো খবর