বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাট জাগ দিতে লাগছে টাকা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৭ আগস্ট, ২০২১ ১১:০৭

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাসুমবিল্লাহ জানান, এ বছর তুলনামূলক বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে উন্মুক্ত জলাশয়ে পাট জাগ দেয়া নিয়ে চাষিরা কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন। তবে তারা “রিবন রেটিং” পদ্ধতিতে পাট জাগ দিতে পারেন। এতে অল্প পানিতে বেশি পরিমাণ পাট জাগ দেয়া যায়।

পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে পাট কাটা, জাগ দেয়া ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে চাটমোহরে পাটের ফলন ও দাম ভালো হলেও পাট জাগ দেয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।

চাষিরা এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ছুটছেন বিল-ডোবা ও পুকুর-নালার খোঁজে। অনেকে আবার কৃত্রিম খাল তৈরি করে শ্যালোর পানিতে পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে পাট চাষিদের অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকায় ৮ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দেশি ১৩৫ হেক্টর, তোষা ৮ হাজার ৪৪৫ হেক্টর এবং মেসতা ১৪০ হেক্টর।

গত বছর চাটমোহরে ৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাট চাষ হয়েছিল। গত বছরের চেয়ে এ বছর ছয়শ ২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ বেশি হয়েছে।

শুক্রবার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পাট কাটা, জাগ দেয়া, ধোয়া এবং শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এবার পাটের ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় পাট চাষিরাও খুশি।

উপজেলার বালুদিয়ার গ্রামের চাষি আকতার হোসেন জানালেন, প্রায় ৬ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এ বছর ভালো ফলন হয়েছে। ৭০ থেকে ৭২ মণ পাট হবে। প্রতি বিঘা জমিতে পাট চাষে খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৪ মণ পাট হবে। ন্যায্য মূল্য পেলে লাভবান হবেন।

শাহপুর গ্রামের চাষি আবদুল কাদের জানান, পাট চাষের জমি উপযোগী করা থেকে নিড়ানি দেয়া, পাট কাটা, জাগ দেয়া, আঁশ ছাড়ানো ও শুকানোতে শ্রমিকের মজুরি খরচ অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশি পড়ছে। এ ছাড়া পাট জাগের পানির অভাবে পরিবহন খরচ গাড়ি প্রতি হাজার টাকা অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে।

আরেক চাষি ফজলুর রহমান বলেন, পানির জন্য গাড়িতে করে পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে গিয়ে পাট জাগ দিতে হচ্ছে। পাটের বর্তমান বাজার ২২০০ থেকে ২৪০০ টাকা মণ চলছে। দাম কমে গেলে কৃষকেরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।

হান্ডিয়াল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম জাকির হোসেন জানান, এবার অধিক পরিমাণে পাটের চাষ হওয়ায় পানি সংকটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিল এলাকায় আসছেন পাট জাগ দেয়ার জন্য।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাসুমবিল্লাহ জানান, আধুনিক পদ্ধতিতে পাট চাষে বিভিন্ন পরামর্শসহ মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পাট চাষের বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।

এ অঞ্চলের চাষিদের বিনা মূল্যে পাট বীজ ও রাসায়নিক সার প্রদানসহ সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেয়ায় পাট চাষে ঝুঁকছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, ‘আগে চাষিরা বৃষ্টিপাত নির্ভর ছিল। বর্তমানে চাষিরা জমিতে সেচ ব্যবস্থায় পাটের চাষাবাদ করছেন। যার কারণে উৎপাদন অনেক বেড়েছে। এ বছর তুলনামূলক বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে উন্মুক্ত জলাশয়ে পাট জাগ দেয়া নিয়ে চাষিরা কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন।

‘তবে তারা “রিবন রেটিং” পদ্ধতিতে পাট জাগ দিতে পারেন। এতে অল্প পানিতে বেশি পরিমাণ পাট জাগ দেয়া যায়। সাধারণত পাট জাগে ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগে। আর রিবন রেটিং পদ্ধতিতে ১০ থেকে ১২ দিনে হয়ে যায়। আর পাটের রং ও মান অনেক ভালো হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর