দেশে সরকারি খাদ্যশস্যের মজুত ১৬ দশমিক ৬৯ কোটি মেট্রিক টন বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে দিয়ে মজুতের হিসেবে রেকর্ড করতে যাচ্ছে সরকার।
বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টায় খাদ্যশস্য মজুতের এ রেকর্ড হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চলমান অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ অভিযানে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ৭ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৩ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন ধান এবং ১ লাখ ৩ হাজার মেট্রিক টন গম সংগ্রহ করা হয়েছে।
১৬ আগস্ট পর্যন্ত চলবে বোরো সংগ্রহ অভিযান। অবশিষ্ট সময়ে আরও ৭ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহের আশা করছে সরকার।
গত কয়েক মাসে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে প্রায় ৯ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গম। আরও ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল বিদেশ থেকে আসার অপেক্ষায় আছে।
দেশে সরকারি খাদ্যশস্যের মজুত ১৬ দশমিক ৬৯ কোটি মেট্রিক টন। এর মধ্যে দিয়ে মজুতের হিসেবে রেকর্ড করতে যাচ্ছে সরকার।
দেশে সিএসডি ও এলএসডি গোডাউনে বর্তমান ধারণ ক্ষমতা ২১ লাখ মেট্রিক টন হলেও সরকারি খাদ্যগুদামে মোট মজুতের পরিমাণ ১৬ দশমিক ৬৯ লাখ মেট্রিক টন।
আগস্ট শেষে এ মজুতের পরিমাণ আরও বাড়বে। সরকারি গোডাউনে খাদ্যশস্য মজুতের পরিধি বাড়ানো নিয়ে নতুন করে ভাবছে সরকার।
খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম বলেন, ‘এই মৌসুমে সরকারি সংগ্রহ মূল্য বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় সংগ্রহ অভিযান সফল হওয়ার পথে। কৃষক এবার ফসলের নায্যমূল্য পেয়ে খুশি।’
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। একজন মানুষও যেন খাবারের কষ্ট না পায় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পায় সেটা নিশ্চিত করার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় সব সময় সচেষ্ট ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্য মজুত সক্ষমতা বাড়াতে ৩টি সাইলোর নির্মাণ কাজ শেষের পথে, ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার একটি সাইলোর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে এবং চারটির টেন্ডার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’
সম্প্রতি একনেকে ৩০টি পেডি সাইলোর অনুমোদন পাওয়া গেছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ১৭০টি পেডি সাইলো নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। এগুলো নির্মিত হলে খাদ্য শস্য মজুত নিয়ে আর চিন্তা থাকবে না বলেও জানান তিনি।