বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পিরোজপুরের ‘শান্ত’র দাম হাঁকা হচ্ছে ২০ লাখ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১২ জুলাই, ২০২১ ১৮:৫১

খামারি ও স্থানীয়দের দাবি, পিরোজপুরে সবচেয়ে বড় এই ষাঁড়। আকারে বড় হলেও ষাঁড়টি শান্ত স্বভাবের। এ কারণে এটির নাম রাখা হয়েছে ‘শান্ত’।

প্রতিবছর কোরবানির ঈদ সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ওজন এবং দামে আলোচনায় উঠে আসে নানা বাহারি নামের গরু। এবার সেই তালিকায় উঠে এসেছে দুর্গাপুরের ‘শান্ত’।

উপকূলীয় জনপদ পিরোজপুরের দুর্গাপুর ইউনিয়নের চলিশা গ্রামে ৩০ মণ ওজনের ফ্রিজিয়ান ষাঁড়টি লালন-পালন করেছেন রাসেল নামের এক খামারি। ষাঁড়টি উচ্চতায় ৫ ফুট ও চওড়ায় ৮ ফুট।

সাদা ও কালো রঙের সাড়ে ৩ বছর বয়সী ষাঁড়টির দাম হাঁকা হয়েছে ২০ লাখ টাকা।

খামারি ও স্থানীয়দের দাবি, পিরোজপুরে সবচেয়ে বড় এই ষাঁড়। আকারে বড় হলেও ষাঁড়টি শান্ত স্বভাবের। এ কারণে এটির নাম রাখা হয়েছে ‘শান্ত’।

রাসেল প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে যশোরের সাতমাইল এলাকা থেকে ১ বছর বয়সী শান্তকে কেনেন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায়।

রাসেল জানান, প্রতিদিন শান্তর খাদ্যতালিকায় থাকে প্রায় ২৫-২৮ কেজি দানাদার খাবার ও সবুজ ঘাস । এরই মধ্যে শান্তর হাঁকডাক চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিনই ষাঁড়টি দেখতে খামারে ভিড় করছেন উৎসুক লোকজন।

জেলার কদমতলা থেকে শান্তকে দেখতে আসেন এজাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘কয়েকজনের কাছে বড় আকারের গরুর কথা শুনে দেখতে এলাম। এত বড় ষাঁড় দেখে অবাক হয়েছি।’

এদিকে করোনার এ সময়ে শান্তকে হাটে বিক্রি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মালিক রাসেল। তিনি জানান, শান্তর পেছনে প্রতিদিন অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।

তার নিরাপত্তা দিতেও এখন রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। তাদের মতো ছোট খামারির ঘরে এত বড় ষাঁড় রাখাও কঠিন। এ ঈদে পশুটিকে বিক্রি করতে না পারলে অনেক আর্থিক ক্ষতি হবে তার।

পিরোজপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বসির আহমেদ বলেন, ‘সদর উপজেলায় এ ষাঁড়টি সবচেয়ে বড় দেখলাম। রাসেলের মতো খামারি উদ্যোক্তা আমাদের আরও প্রয়োজন। তাদের মতো খামারিদের আমরা বছরে ৩/৪ বার সরকারিভাবে গো-খাদ্য, আর্থিক প্রণোদনা ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের মাধ্যমে ফ্রি কৃমিনাশক ও ভিটামিন দিয়ে থাকি।’

এ বিভাগের আরো খবর