ইউরোপসহ উন্নত দেশে ফলমূল ও শাকসবজি রপ্তানির ক্ষেত্রে সব ধরনের বাধা দূর করতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু মধ্যপ্রাচ্যে নয়, ইউরোপ, জাপানসহ উন্নত দেশগুলোর মূল বাজারে আমরা কৃষিপণ্য রপ্তানি করতে চাই। সে জন্য রপ্তানি বাধা দূর করতে ইতোমধ্যে দেশে উত্তম কৃষিচর্চা নীতিমালা (গ্যাপ) বাস্তবায়নে কাজ শুরু হয়েছে।’
কৃষিমন্ত্রী শনিবার সকালে ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কৃষিপণ্যের রপ্তানি সহায়ক বিএডিসির হিমাগার পরিদর্শন শেষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে আন্তর্জাতিক মানের অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব ছিল না, আমরা সেটি স্থাপন করেছি। সেখান থেকে সনদ দেয়া শুরু হয়েছে। আম রপ্তানির জন্য ভ্যাকুয়াম হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ চলছে।
শুধু গার্মেন্টসনির্ভর রপ্তানি থাকলে হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, রপ্তানিকে বহুমুখী করতে হবে। সেটি করতে হলে কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে হবে। কৃষিপণ্যের রপ্তানির সম্ভাবনা অনেক। এ সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে কৃষিপণ্য মাঠে উৎপাদন থেকে শুরু করে শিপমেন্ট পর্যন্ত নিরাপদ রাখতে কাজ চলছে। পাশাপাশি কৃষিপণ্য পরিবহন ও সংরক্ষণ সুবিধা বাড়াতেও গুরুত্বের সঙ্গে কাজ চলছে।
কৃষিপণ্যের রপ্তানির জন্য বিমানবন্দরে বিএডিসির হিমাগারের সক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে বলে এ সময় জানান মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ফলমূল ও শাকসবজি রপ্তানির সময় বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং, স্পেস ও কার্গো ভাড়া প্রভৃতি বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ফলমূল ও শাকসবজি রপ্তানিকারক প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়গুলোকে কৃষিপণ্যের জন্য আরও রপ্তানিবান্ধব ও সহজতর করতে কাজ চলমান আছে।
সভায় বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকারের সভাপতিত্বে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনসহ অন্যরা।