কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে সুপারি বাগানে বস্তায় আদা চাষ করেছেন অলিউর রহমান নয়ন। তার এমন ব্যতিক্রমি উদ্যােগে স্থানীয় অনেক চাষী আদা চাষে উৎসাহী হয়েছেন।
অলিউর উপজেলার রাবাইটারী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক। তিনি উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব ফুলমতি গ্রামের বাসিন্দা। একটি জাতীয় দৈনিকে উপজেলা সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন তিনি।
চাকরির পাশাপাশি তিনি ফসল ও মাছ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। প্রথম বারের মতো নিজের সুপারির বাগানে বানিজ্যিকভাবে বস্তায় আদা চাষ করেন তিনি।
অলিউর বলেন, প্রায় ১০ শতাংশ আয়তনের সুপারি বাগানে বস্তায় আদা চাষ করতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা। পরিমান মতো জৈব ও রাসায়নিক সার এবং দানাদার কীটনাশক বেলে-দােআঁশ মাটিতে মিশিয়ে বস্তার অর্ধেক ভরেছেন । সেখানে তিনটি করে আদার কান্ড রােপন করেন। সুপারি গাছের ফাঁকে ফাঁকে সারি করে রেখেছেন চার শতাধিক বস্তা। এরপর বালাই নাশক প্রয়ােগ করে চালিয়ে যান পরিচর্যা।
তিনি জানান, রােগ বালাই এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে জমির আদার চেয়ে দ্বিগুন ফলন হতে পারে।
এ বছর লাভ করতে পারলে আগামীতে ব্যাপক হারে বস্তায় আদা চাষ করার ইচ্ছা আছে তার।
উপজলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশিদ বলেন, বস্তায় মাটি ভরাট করে আদা চাষ করা কৃষকদের কাছে একটি নতুন ধারণা। এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
তিনি জানান, উপজেলায় শতাধিক কৃষক স্বল্প পরিসরে বস্তায় আদা চাষ করছেন। শুধু সুপারির বাগান নয়, বাড়ির ছাদ ও পরিত্যক্ত চাতালেও বস্তায় আদা চাষ করা সম্ভব। তাই বস্তায় আদা চাষ করতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়াগত সার্বিক সহযােগিতা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এ বছর উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে আদা চাষ করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে গত বছরের চেয়ে এবার আদার ফলন ভাল হবে।